ঘূর্ণিঝড় ট্রামির আঘাতে ফিলিপাইন্সে মৃত ২৬
২৪ অক্টোবর ২০২৪এই ঘূর্ণিঝড়ের স্থানীয় নাম ক্রিস্টিন, যাকে অন্যান্য দেশে ডাকা হচ্ছে ট্রামি নামে৷ ফিলিপাইন্সের মূল দ্বীপ লুজনে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধস দেখা যায়৷
ঘণ্টায় ৯৫ কিলোমিটার বেগে এসে এই ঝড় পশ্চিমের দিকে যেতে শুরু করে৷ তারপর, দক্ষিণ চীন সাগর ও দেশটির উত্তরে থাকা পাহাড়ি এলাকা, করদিলেরার দিকে এগোয়৷ সকালের বুলেটিনে এই খবর জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর ৷
কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে ফিলিপাইন্সের উত্তরাঞ্চলে আরো বৃষ্টি, বন্যা, ভূমিধস ও ঝড়ের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে, বিশেষ করে দেশটির উত্তরাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে৷
এখন পর্যন্ত ২৬জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷ বেশিরভাগ মৃত্যুই হয়েছে বিকোল অঞ্চলে পানিতে ডুবে যাওয়া ও বন্যার কারণে৷ বৃহস্পতিবার নাগা শহর থেকেই আসে ১৪জনের মৃত্যুর খবর৷
উত্তর-পূর্বের রাজ্য ইসাবেলার দিভিলাকান শহরেও ট্রামি এসে পৌঁছায়, কিন্তু সেখানে কোনো হতাহতের খবর নেই, জানান শহরটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান, ইজিকিয়েল চাভেজ৷
আরো বৃষ্টি ও বন্যার আশঙ্কায় স্কুল-কলেজসহ নানা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার৷
প্রায় এক লাখ ৬৩ হাজার মানুষ বর্তমানে ঘরছাড়া হয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে৷ এমন শিবিরের বেশিরভাগই বিকোল অঞ্চলে, যেখানে পানি একতলা ভবনের ছাদের উচ্চতায় উঠে গেলে স্থানীয়দের ঘর ছাড়তে হয়৷
বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশজুড়ে কয়েক ডজন ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এই ঝড়ের জন্য৷
টানা দুই দিন ধরে ফিলিপাইন্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও বাধ্য হয়েছে তাদের বৈদেশিক মুদ্রার কেনাবেচা স্থগিত রাখতে৷
এসএস/এসিবি (রয়টার্স)