রায়ের প্রতিক্রিয়া
২ আগস্ট ২০১৩ফেসবুকে ইশতিয়াক ইসলাম খান লিখেছেন, ‘‘আমি জানি না, হাইকোর্টের এ আদেশে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ হলো কিনা, আমি বুঝি না, এই আদেশের ফলে জামায়াত নির্বাচন করতে পারবে কি পারবে না, আমি শুধু এতটুকু জানি, জামায়াত-শিবিরের বিপক্ষে আমার দেশের হাইকোর্ট একটি মতামত দিয়েছে, আমি বুঝি, আমার দেশের সরকার এই সংগঠনের প্রতি তাদের অনমনীয়তার একটি চিত্র দেখিয়েছে, আমি শুধু অনুভব করি, শুধু যাতে আমি নিশ্বাস নিতে পারি সেজন্য প্রাণ দেয়া ৩০ লক্ষ রাম-রহিমের নিশ্বাস আজ একটু কম ভারী হবে, আমি জানি, আজ বেঁচে থাকা কোনো বীরাঙ্গনার চোখ দিয়ে এক ফোঁটা হলেও সুখের অশ্রু ঝরবে, আমি শুধু এটুকু বিশ্বাস করতে চাই মনে প্রাণে এই দেশে কখনো কোনোদিন এমন কোনো সংগঠন আর থাকবে না, যারা এদেশের জন্মই চায়নি৷''
তবে সামহয়্যার ইন ব্লগে হাসান নাঈম লিখেছেন, ‘‘প্রাথমিক সংবাদে যা বুঝা গেল তার সারমর্ম হচ্ছে পঞ্চদশ সংশোধনীর আগে সংবিধানে যখন ‘আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস' উপস্থিত ছিল তখন জামায়াতের নিবন্ধন ঠিক ছিল৷ পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এই বিষয়টি তুলে দিয়ে সেক্যুলারিজম (ধর্মীয় প্রভাবমুক্ত রাষ্ট্র ব্যবস্থা) সংবিধানে সংযোজনের ফলেই জামায়াতের নিবন্ধন সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হয়েছে বিধায়, তা বাতিল করা হলো৷ মূল সমস্যাটা হয়েছে জামায়াতের গঠনতন্ত্রের ‘সকল ক্ষমতার উৎস আল্লাহ' এই বিশ্বাসটি – যা নতুন সেক্যুলার সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক৷ অর্থাৎ এই নিবন্ধন বাতিল জামায়াতের একাত্তরের ভূমিকার জন্য নয় বরং আওয়ামী লীগের করা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর জন্য৷''
একই ব্লগে রেজা সিদ্দিক লিখেছেন, ‘‘জামায়াত নিষিদ্ধ হলে কি হবে? জামায়াতের লোকগুলো তো হাওয়া হয়ে যাবে না? এরা আশ্রয় নেবে বিভিন্ন দলের মাঝে৷ তবে বড় কথা হলো এরা যেখানেই থাকুক জামাতের এজেন্ডাই বাস্তবায়ন করবে৷....সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, আমাদের দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো কি নিজেদের মুক্ত রাখতে পারবে জামায়াতের অদৃশ্য প্রভাব থেকে?''