জার্মানিতে কার্বন নির্গমন কমছে
২৬ ডিসেম্বর ২০১০সম্প্রতি জার্মানির কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে, জার্মানিতে জন প্রতি কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণ ২০০৮ এবং ২০০৯ সালের মধ্যে অনেকটাই কমেছে৷ গত বছর জার্মানিতে প্রাইভেট বাড়িঘরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সিওটু নির্গমনের মোট পরিমাণ ছিল ৬১৮ মিলিয়ন টন৷ অর্থাৎ গড়ে জনপ্রতি ৭.৫ টন৷ যদিও গত বছরের হিসেব অনুয়ায়ী, ০.১ টন হ্রাস পাওয়াটা পরিমাণে খুবই স্বল্প, তবে ২০০০ সাল থেকে জনপ্রতি নিঃসরণের মাত্রা শতকরা প্রায় পাঁচ ভাগ কমেছে৷
কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের বিশ্লেষক হেলমুট মায়ার এক ই-মেইলে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘‘কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা হ্রাস পাওয়া অবশ্যাই ইতিবাচক৷'' মায়ার বলেন, জার্মানিতে গৃহস্থালি কাজে জ্বালানির ব্যবহার ইতোমধ্যেই উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে৷ বাড়ি উষ্ণ রাখার হিটিং ব্যবস্থা এবং গাড়ির জন্যে পেট্রোল সরাসরি সিওটু নির্গমন তৈরি করে৷ ২০০৯ সালে এই নির্গমেনর মাত্রা ছিল মোট প্রায় ২১৬ মিলিয়ন টন৷ জার্মান বাড়িঘরগুলো থেকে সরাসরি কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণের মাত্রা ২০০০ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে প্রায় শতকরা ৭ ভাগ কমেছে৷
নির্গমনের মাত্রা কমানোর এই ধারা অব্যাহত রাখার কথা বলতে গিয়ে মায়ার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘গৃহস্থালি কাজে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যাবহার বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে এই ক্ষেত্রে একটা বড় ধরণের নিঃসরণ হ্রাসের ব্যাবস্থা করা যেতে পারে৷'' সম্প্রতি মেক্সিকোর কানকুনে জাতিসংঘ আয়োজিত জলবায়ু সম্মেলনেও, জার্মানিতে নির্গমনের মাত্রা কমিয়ে আনার এই পরিসংখ্যান আলোচনার শীর্ষে স্থান পেয়েছে৷
নরওয়েজিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির, ইন্ডাসট্রিয়াল ইকোলজির অধ্যাপক এডগার হ্যার্টভিচ -এর মতে, গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের শতকরা ৭২ ভাগের জন্যে দায়ী মানুষের একক কাজ এবং গৃহস্থালি কাজকর্ম৷ অত্যন্ত সম্মানজনক ‘কার্বন ফুটপ্রিন্ট অফ নেশন্স' নমের গবেষণা কর্মসূচির সঙ্গে হ্যার্টভিচ জড়িত ছিলেন৷ ঐ গবেষণা প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমনের মাত্রা বিশ্লেষণ করা হয়৷ জার্মানির কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান কার্যালয় জনপ্রতি নির্গমনের মাত্রাকে বিষয় হিসেবে গুরুত্ব দেয়ায় তিনি তার প্রশংসা করে বলেন, জার্মানি নির্গমনের মাত্রা এতোটা কমিয়ে এনেছে, যা ‘আশ্চর্যজনক'৷
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক