জার্মানিতে প্রমীলা বিশ্বকাপকে ঘিরে গভীর আগ্রহ
১৬ জুন ২০১১২০০৬ সালে জার্মানিতে বসেছিল বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর৷ আজও সেই অসাধারণ অভিজ্ঞতাকে ‘গ্রীষ্মের রূপকথা' বলা হয়৷ আর কয়েক দিন পর জার্মানির মাটিতেই শুরু হচ্ছে প্রমীলা বিশ্বকাপ৷ নারী ফুটবলাররা সেই পরিবেশ আবার ফিরিয়ে আনতে পারবেন কি না, সেবিষয়ে এখনো জল্পনা-কল্পনা চলছে৷ কারণ খেলার মান ভালো হলেও স্টেডিয়াম যদি খালি থাকে, টেলিভিশন পর্দা থেকে মানুষ মুখ ঘুরিয়ে নেয়, তাহলে শুধু মান-সম্মান নয় – টান পড়বে টাকার ঝুলিতেও৷
প্রমীলা বিশ্বকাপকে ঘিরে জনসাধারণের মধ্যে কতটা উৎসাহ-উদ্দীপনা রয়েছে, তা জানতে এক সমীক্ষা চালিয়েছিল জার্মানির ডাক সংস্থা ডয়চে পস্ট৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৪৬ শতাংশ মানুষের মনেই বিশ্বকাপকে ঘিরে যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে৷ শুধু তাই নয়, এই দলের মধ্যে ৫৩ শতাংশই পুরুষ৷ মাত্র ৪০ শতাংশ নারী প্রমীলা বিশ্বকাপকে ঘিরে উৎসাহ দেখিয়েছে৷ জার্মানির জাতীয় দল যদি সাফল্য বজায় রাখে তাহলে ২০০৬ সালের ‘গ্রীষ্মের রূপকথা' আবার ফিরে আসবে বলে মনে করেন প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ৷ জার্মানির বেসরকারি সংস্থাগুলি এই বিশ্বকাপ আয়োজনের ক্ষেত্রে যেভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে, প্রায় ৮৬ শতাংশ মানুষ তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছে৷
২৬শে জুন বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে জার্মানি ও ক্যানাডার মধ্যে উদ্বোধনী ম্যাচে প্রায় ৭৪,০০০ দর্শক উপস্থিত থাকবেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে, যা একটা রেকর্ড৷ প্রমীলা ফুটবলের ক্ষেত্রে আগে এমনটা দেখা যায় নি৷ ফলে বিশ্বকাপের পরেও এই আগ্রহের রেশ অনেকটাই থেকে যাবে বলে আশা করছেন অনেকে৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম