জার্মানিতে যেভাবে ঘটলো ট্রেন দুর্ঘটনা
জার্মানিতে মঙ্গলবার দু’টি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত কমপক্ষে দশ, আহত অনেকে৷ আধুনিক ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থার দেশে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা কিভাবে ঘটলো, চলুন দেখে নেয়া যাক৷
বাভারিয়ায় দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ
জার্মানির বাভারিয়ার কাছে বাড আইব্লিংয়ে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে কমপক্ষে দশ ব্যক্তি নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন৷
বগিগুলো দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে
ট্রেন দু’টি যখন মুখোমুখি ধাক্কা খায়, তখন সেগুলো ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে চলছিল৷ উভয় ট্রেনের সামনের বগিগুলো দুইভাগে ভাগ হয়ে গেছে৷ একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি বগি উল্টে গেছে৷
বাভারিয়ায় দুর্ঘটনা
বাভারিয়া রাজ্যের রাজধানী মিউনিখের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে দুর্ঘটনাটি ঘটে৷ প্রতিবছর অনেক পর্যটক মিউনিখ ভ্রমণ করেন৷
দুর্ঘটনার কারণ সম্ভবত ‘হিউম্যান এরর’
সম্ভবত মানুষের ভুলে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, প্রাথমিক তদন্তে তেমনটাই মনে করছে পুলিশ৷ দুর্ঘটনার কবলে পড়া ট্রেন দু’টিতে দেড়শ’র মতো যাত্রী ছিল৷ স্কুল ছুটি থাকা সত্ত্বেও এই সময় সাধারণত এত যাত্রী সেখানকার ট্রেনে ওঠে না বলে জানিয়েছে পুলিশ৷
দ্রুত ঊদ্ধার
দুর্ঘটনার পরপরই সেখানে রেড ক্রসের ঊদ্ধারকর্মীরা পৌঁছে যান৷ সবমিলিয়ে পাঁচশ ঊদ্ধারকর্মী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঊদ্ধার কাজ সম্পন্ন করেন৷
হেলিকপ্টারে হাসপাতালে
ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতদের হেলিকপ্টারে করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার ঊদ্ধারকাজে অংশ নেয়৷
আহতরা ‘ঝুঁকিমুক্ত’
ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে আর কেউ মৃত্যু ঝুঁকিতে নেই বলে জানিয়েছে বাভারিয়ার পুলিশের এক মুখপাত্র৷ তিনি জানান, আহতদের মধ্যে আঠারোজনের জখম মারাত্মক৷ তবে তাদের জীবনের হুমকি নেই৷
মন্ত্রীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন
ট্রেন দুর্ঘটনার পরপরই জার্মানির পরিবহন মন্ত্রী আলেক্সান্ডার ডোব্রিন্ডট (বামে) এবং বাভারিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইওয়াখিম হ্যারমান (মাঝে) ঘটনাস্থল পরিদর্শক করেন৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও শোক প্রকাশ করেছেন৷
স্কুল বন্ধ থাকায় বেঁচে গেল শিক্ষার্থীরা
যে ট্রেনগুলোতে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেগুলোতে সকালের দিকে অনেক শিক্ষার্থী থাকে৷ কিন্তু স্কুল বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থীরা রক্ষা পেয়েছে৷ তবে কার্নিভাল উৎসবের কারণে ট্রেনগুলোতে অনেক যাত্রী ছিল বলে মনে করছে পুলিশ৷