1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির দুই তারকা রাঁধুনির কথা

১৮ জানুয়ারি ২০১৯

ইয়োহানেস কিং ও ইয়ান-ফিলিপ ব্যার্নার জার্মানির ‘শেফ অফ দ্য ইয়ার ২০১৯’ নির্বাচিত হয়েছেন৷ রেস্তোরাঁ বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘গো মিয়ো’র জার্মান সংস্করণ এই খেতাব দিয়েছে৷ তাঁরা উত্তর সাগরের জুল্ট দ্বীপের এক রেস্তোরাঁয় কাজ করেন৷

https://p.dw.com/p/3BkpV
ইয়োহানেস কিং (ডানে) ও ইয়ান-ফিলিপ ব্যার্নার (বামে)ছবি: picture-alliance/dpa/King/Ydo Sol

বিশ বছর ধরে ইয়োহানেস কিং জুল্ট দ্বীপে বাস করছেন৷ ভালো ঝিনুক কীভাবে চেনা যায়? তিনি বললেন, ‘‘গন্ধটা খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ তাছাড়া একটি ঝিনুক দেখতে ভালো হতে হবে, সেক্সি মনে হতে হবে৷ ভাঙা থাকলে চলবে না, আর খোসার গায়ে দাগ না থাকলেই ভালো৷ ঝিনুক দেখতে অভিজাত হতে হবে, গন্ধ হতে হবে লবণ কিংবা আয়োডিনের মতো৷ ভেতরে পানি থাকতে হবে৷’’

ইয়ান-ফিলিপ ব্যার্নার জানালেন, ‘‘শীতের সময় সাগরের পানি যত ঠান্ডা থাকে, সি-ফুডের স্বাদ তত ভালো হয়৷ তাই আমাদের রেস্তোরাঁয় শীতের সময় সি-ফুড থাকে৷ তবে তার মানে এই নয় যে, আমরা মাংস রাঁধি না৷ আমরা সবসময় বিভিন্ন রকমের খাবার রাখার চেষ্টা করি৷ অতিথিদের আমরা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শস্য খাওয়াতে চাই৷ আমরা নতুন ধরনের খাবার রান্নারও চেষ্টা করি৷’’

জার্মানির ‘শেফ অফ দ্য ইয়ার ২০১৯’

জার্মানির এই দুই তারকা রাঁধুনি সাগর পাড়ের যে রেস্তোরাঁয় কাজ করেন তার নাম ‘স্যোলরিং-হোফ’৷ হোটেলের অতিথিরা উত্তর সাগরের খুব কাছে থাকতে পারেন৷ ইচ্ছে করলে সেখানকার সৈকতে হাঁটতেও যেতে পারেন৷

ইয়োহানেস ঠিক জানেন দ্বীপের কোথায় শামুক, ঝিনুক আর শৈবাল পাওয়া যায়৷

রাঁধুনি তারকাদের রান্নায় গাছগাছালির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে৷ তাই ইয়োহানেস নিজেই বাগান তৈরি করেছেন৷ সেখানে ব্রকলি, বাঁধা কপি, গোলাপ ইত্যাদির চাষ হয়৷ বিশেষ করে জুল্ট দ্বীপে বন্য গোলাপ ভালো জন্মে৷

ইয়ান-ফিলিপ ব্যার্নার বলেন, ‘‘সারাবছর আমরা যত খাবার তৈরি করি তার প্রায় সবগুলোতে অন্তত একবার গোলাপের পাঁপড়ি ব্যবহারের চেষ্টা করা হয়৷’’

দ্বীপের কোথায় কী আছে সে সম্পর্কে ভালো জ্ঞান আর ভালো কিছু করার ইচ্ছা – এ সব কারণে ইয়োহানেস কিং ও ইয়ান-ফিলিপ ব্যার্নার জার্মানির ‘শেফ অফ দ্য ইয়ার ২০১৯’ খেতাব জিতেছেন৷

সুজানে ডাউস/জেডএইচ

২০১৭ সালের মে মাসের ছবিঘরটি দেখুন...