জার্মানির পূর্বাঞ্চলের তিন রাজ্যে নির্বাচন
১ সেপ্টেম্বর জার্মানির পূর্বাঞ্চলীয় দুই রাজ্য টুরিঙ্গিয়া ও সাক্সোনিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ এরপর ২২ সেপ্টেম্বর পূর্বাঞ্চলীয় আরেক রাজ্য ব্রান্ডেনবুর্গে নির্বাচন হবে৷
তিন রাজ্যে নির্বাচন
১ সেপ্টেম্বর জার্মানির পূর্বাঞ্চলীয় দুই রাজ্য টুরিঙ্গিয়া ও সাক্সোনিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ এরপর ২২ সেপ্টেম্বর পূর্বাঞ্চলীয় আরেক রাজ্য ব্রান্ডেনবুর্গে নির্বাচন হবে৷ এই তিন রাজ্যে জার্মানির ১০ শতাংশ মানুষ বাস করেন৷ তিনটি রাজ্যই সাবেক পূর্ব জার্মানিতে অবস্থিত৷ অর্থাৎ একসময় ঐ রাজ্যগুলো কমিউনিস্ট শাসনের অধীনে ছিল৷
রাজ্য নির্বাচনের গুরুত্ব
এক বছর পর জার্মানিতে জাতীয় নির্বাচন হবে৷ তার আগে সেপ্টেম্বরে তিন রাজ্যে হতে যাওয়া নির্বাচনের ফল জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে একটা ধারণা দিতে পারে৷ তিন রাজ্যের সবশেষ জরিপ বলছে, অভিবাসনবিরোধী দল এএফডি সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে৷ এছাড়া জার্মান সংসদের উচ্চকক্ষ বুন্ডেসরাটের গঠনও নির্ধারণ করে রাজ্য নির্বাচনের ফলাফল৷
সাক্সোনি রাজ্যের জরিপ
জার্মানির বহুল প্রচারিত ‘বিল্ড’ পত্রিকার সবশেষ জরিপ বলছে, এএফডি ৩২ শতাংশ ভোট পাবে৷ জার্মানির বর্তমান বিরোধী দল সিডিইউ পাবে ৩০ শতাংশ ভোট৷ এরপর আছে গত জানুয়ারিতে গঠিত ‘সারা ভাগেনক্নেশট অ্যালায়েন্স’ বা বিএসডাব্লিউ ১৫ শতাংশ৷ জার্মানির বর্তমান জোট সরকারের মূল দল এসপিডি মাত্র ৬ শতাংশ ভোট পাবে৷ আর জোটের শরিক সবুজস দল পাবে ৫ শতাংশ ভোট৷
টুরিঙ্গিয়ায়ও এএফডি এগিয়ে
এই রাজ্যেও এএফডি সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে (৩০ শতাংশ)৷ এরপর আছে সিডিইউ (২১ শতাংশ), বিএসডাব্লিউ (২০ শতাংশ), বাম দল (১৪ শতাংশ) ও এসপিডি (৬ শতাংশ)৷ জার্মানির জোট সরকারের অংশ সবুজ ও এফডিপি দল এই রাজ্যের সংসদে প্রবেশ করার মতো ভোট পাবে না বলে জরিপ বলছে৷
ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্যের জরিপ
বিল্ড এর জরিপ বলছে এএফডি ২৪ শতাংশ, এসপিডি ১৯ শতাংশ, সিডিইউ ১৮ শতাংশ, বিএসডাব্লিউ ১৭ শতাংশ, সবুজ ৭ ও বামদল পাবে ৫ শতাংশ ভোট৷
পপুলিস্ট দুই দলের প্রাধান্য
জরিপ থেকে দেখা যাচ্ছে, এএফডি ও বিএসডাব্লিউ দল ভালো ফল করবে৷ পপুলিস্ট এই দুই দলই ইউরোপ-বিরোধী, অভিবাসনবিরোধী, রাশিয়াবান্ধব এবং ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিরোধী৷
প্রথম ঘটনা হতে পারে
জরিপ বলছে, তিন রাজ্যেই এএফডি সবচেয়ে বেশি ভোট পেতে পারে৷ সেটি বাস্তব হলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এএফডি প্রথম চরম ডানপন্থি দল হিসেবে জার্মানির কোনো স্তরের সংসদে সবচেয়ে বড় দল হিসেবে আবির্ভূত হবে৷
সরকার গঠন করবে এএফডি?
বিষয়টা কঠিন হবে৷ কারণ, সবচেয়ে বেশি ভোট পেলেও সরকার গঠনের জন্য তাদের অন্য দলের সহায়তা প্রয়োজন হবে৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো দল তাদের সঙ্গে জোট গঠনের ইচ্ছা প্রকাশ করেনি৷
রাজ্য সরকারের ক্ষমতা
পুলিশ, আদালত, শিক্ষা ও সংস্কৃতির মতো বিষয়গুলোতে সিদ্ধান্ত নিতে পারে রাজ্য সরকার৷