ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্তদের দিয়ে চলে যে ক্যাফে
৩ মে ২০২৪তাদের একজন শিমন জেখ৷ ক্যাফের নাম ‘স্পোয়েচনা ক্যাফে'৷ স্পোয়েচনা ক্যাফে মানে হচ্ছে ‘সোশ্যাল ক্যাফে'৷
বর্তমানে এই ক্যাফে প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে৷ ইতিমধ্যে পোল্যান্ডে ছোট্ট সেনসেশন হয়ে উঠেছে এটি৷ সামাজিক মাধ্যমে এই ক্যাফের অনুসারী সংখ্যা প্রায় নয় হাজার৷ সেখানে ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ককে চাকরি দেওয়া হয়েছে৷
স্পোয়েচনা ক্যাফের ম্যানেজার গ্রায়না বানাচ-কোচোলেক জানান, ‘‘আমরা দেখানোর চেষ্টা করছি যে, আমাদের সন্তানেরা, কর্মীরা চাকরিতে থাকার গুরুত্ব নিয়ে কথা বলতে পারে৷ অনেক অভিভাবক মনে করেন না যে, তাদের সন্তানেরা এসব করতে পারে, এমন কাজ করতে পারে৷''
পোলিশ সমাজে সাধারণত প্রতিবন্ধীদের কোনো কাজে দেখা যায় না৷ স্কুল শেষ করার পর তারা মা-বাবার সঙ্গে থাকে৷ ঘরের বাইরে খুব কম কাজ করে৷ তাই শিমনের গল্পটা বিরল৷
শিমন বলেন, ‘‘কাজ করতে আমার ভালো লাগে৷ ১০টায় খোলার পর ক্যাফেতে মানুষ আসতে দেখে মনে আনন্দ হয়৷''
বছরখানেক আগে ক্যাফে চালু হওয়ার সময় থেকেই শিমন সেখানে কাজ করছেন৷ করোনার আগে একটি হোটেলে কাজ করতেন৷ টিভি শোতেও অংশ নিয়েছেন৷ এখন এই ক্যাফেই তার পৃথিবী৷
শিমনের মা বেয়াটা বলেন, ‘‘আগে মনে করতাম ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্তরা মা-বাবা ছাড়া চলতেই পারবে না৷ কিন্তু আমার ছেলে স্বাধীন৷ সে একাই পুরো শহরে ঘুরে বেড়ায়৷ অন্য শহরেও যায়৷ ট্রেনে করে পুরো পোল্যান্ড ঘুরে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করে৷ তার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বোধ অনেক বেশি৷''
সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ ‘স্পোয়েচনা ২১' এই ক্যাফে চালু করেছে৷ গরমের সময় তারা ফুড ট্রাকে করে বেলজিয়ান ফ্রাইসও বিক্রি করে৷ তাদের সব কাজই প্রতিবন্ধীদের সহায়তা করে৷
ক্যাফের পুরো আয় কর্মীদের সামাজিক পুনর্বাসনে ব্যয় করা হয়৷
কর্মীরা সব ধরনের কাজ করেন৷ কেক বানান, কফি তৈরি করেন, ক্রেতাদের সার্ভ করেন৷ এখানে কাজ করে কর্মীরা বড় স্বপ্নও দেখছেন৷ যেমন শিমনের স্বপ্ন অ্যামেরিকায় গিয়ে গিটার বাদক হওয়া৷
আদ্রিয়ানা বরোভিস/জেডএইচ