ডাব্লিউএইচও-র ছাড়পত্র পেতে পারে কোভ্যাকসিন
৯ জুলাই ২০২১ভারতে প্রাথমিক ভাবে দুইটি করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়েছিল। সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড এবং হাদরবাদের ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাকসিন। কোভ্যাকসিন নিয়ে গত কয়েকমাস ক্রমশ বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বহু মানুষ এই টিকা পেয়েছেন, কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা টিকাটিকে অনুমোদন দেয়নি। ফলে এই টিকা নিয়ে বিদেশ যাওয়ার ছাড়পত্র মিলছিল না। অবশেষে কোভ্যাকসিন নিয়ে মুখ খুলল ডাব্লিউএইচও। সংস্থার মুখ্য বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন জানিয়েছেন, করোনার প্রতিরোধক হিসেবে কোভ্যাকসিন যথেষ্ট কার্যকর। ডাব্লিউএইচও এখনো ছাড়পত্র না দিলেও অচিরেই যে তারা কোভ্যাকসিনকে সার্টিফিকেট দেবে, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে।
সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌম্যা জানিয়েছেন, কোভ্যাকসিনের করোনা প্রতিরোধক ক্ষমতা বেশ ভালো। তবে ডেল্টা প্রজাতির করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে ততটা কার্যকরী নয় এই ভ্যাকসিন। কোভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের রিপোর্ট তাদের হাতে পৌঁছেছে। সেই রিপোর্ট দেখেই ডাব্লিউএইচও-র মনে হয়েছে, এই টিকাটি যথেষ্ট কার্যকরী।
বস্তুত, গত ২৩ জুন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে বৈঠক হয় ভারত বায়োটেকের। সেখানেই নিজেদের সমস্ত রিপোর্ট ডাব্লিউএইচও-র হাতে তুলে দেয় তারা। পরে সেই রিপোর্ট প্রকাশ করে ভারত বায়োটেক দাবি করে, করোনার উপসর্গযুক্তদের ক্ষেত্রে ৭৭ দশমিক আট শতাংশ কার্যকর কোভ্যাকসিন। অতিমাত্রায় উপসর্গ যাদের, তাদের ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন ৯৩ দশমিক চার শতাংশ কার্যকরী। ডেল্টা প্রজাতির ক্ষেত্রে কোভ্যাকসিন কাজ করবে ৬৫ দশমিক দুই শতাংশ।
কোভ্যাকসিনের পাশাপাশি করোনার দ্রুত টিকাকরণ নিয়েও ভারতকে পরামর্শ দিয়েছে ডাব্লিউএইচও। দেশের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষের টিকাকরণের কথা বলা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে দুইটি টিকার কথা বলা হয়েছে। পরে প্রয়োজনে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। বস্তুত, সরকারও টিকাকরণের গতি আগের চেয়ে বাড়িয়েছে। সেপ্টেম্বর থেকে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকা দেওয়া শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই, আনন্দবাজার)