1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্পের জার্মান সংযোগ

হাইকে মুন্ড, অ্যারন স্কিবা/এসি৬ মার্চ ২০১৬

রাইনল্যান্ড প্যালেটিনেটের কালস্টাট গ্রামে আজ মাত্র বারোশ' মানুষের বাস৷ প্রথাগতভাবে ওয়াইন তৈরির জায়গা৷ কি ভাবেন এখানকার মানুষ সুদূর মার্কিন মুলুকে রিপাবলিকানদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সম্পর্কে?

https://p.dw.com/p/1I7Bq
USA Vorwahlen New Hampshire Donald Trump
ছবি: Reuters/J. Bourg

কালস্টাট গ্রামের ওয়েবসাইটে গেলে দেখতে পাবেন, সারা গ্রামটা নানা ধরনের ওয়াইন সেলার আর ওয়াইন স্যাম্পলিং রুমে ভর্তি৷ নামগুলো সব পুরনো জার্মান কায়দার: ‘‘ওয়াইনক্যাবিনেট'' কিংবা ‘‘সুম বাখুস''৷ স্থানীয় বাসিন্দা বা আন্তর্জাতিক পর্যটক, কালস্টাটে সকলেরই প্রিয় পানীয় হলো ওয়াইন৷ গ্রামের যতো বাসিন্দা, তার দ্বিগুণ ওয়াইন টেস্টিং-এর সিট আছে, বলে স্থানীয়েরা গর্ব করে থাকেন৷

টুরিস্ট কিংবা কৌতূহলী সাংবাদিক, যে-ই কালস্টাটে খোঁজখবর করতে যান না কেন, তাঁর প্রথম মোলাকাত হবে কালস্টাট পরিবহণ সমিতির গ্যুন্থার আন্থন-এর সঙ্গে৷ অবশ্য আন্থন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে এই সব খোঁজখবর দিয়ে থাকেন৷ ট্রাম্প বা জার্মানে ‘ট্রুম্প' নামটি প্যালেটিনেট এলাকা ও বাভারিয়ায় খুবই প্রচলিত, বলে জানালেন আন্থন৷ তবে ‘মায়ার' বা ‘ম্যুলার'-এর মতো, এ নাম থাকার মানে এই নয় যে, সব ট্রাম্প বা ট্রুম্প-রাই পরস্পরের আত্মীয়৷

Kallstadt Rheinland-Pfalz
ছবি: Getty Images/T.Lohnes

ট্রাম্প সম্পর্কে কেউ মুখ খুলতে রাজি নন

কালস্টাট গ্রামে আজ ট্রাম্প বা ট্রুম্প নামের কেই নেই৷ তবে অনেকেরই নাকি ট্রাম্পের সঙ্গে অতীতে রক্তের সম্পর্ক অর্থাৎ যৌথ পূর্বপুরুষ ছিল৷ স্থানীয় টেলিফোন বুক ঘাঁটলে দেখা যাবে, কালস্টাটের আশেপাশে ডজনখানেক ‘ট্রুম্প' আছেন৷ কিন্তু এই ওয়াইন তৈরির গ্রামাঞ্চলে কেউই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে নিয়ে কথা বলতে রাজি নন৷ দশ-বারো বার টেলিফোন করার পর বোঝা গেল, প্যালেটিনেট অঞ্চলের ট্রুম্প-রা মার্কিন মুলুকে তাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছেন৷ তারা এখন শুধু শান্তি চান৷

সমস্যাটা সম্ভবত একটু আলাদা: স্থানীয় বাসিন্দারা ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে কি ভাবছেন বা বলছেন, তাই নিয়ে যখন কথা চলেছে, তখন এক মাঝবয়সি মিস্টার ট্রুম্প বললেন, ‘‘তারা সত্যিই কি ভাবছে, কেউই তা বলার সাহস পাচ্ছে না৷ সেটাই হলো সমস্যা৷ অন্তত প্রকাশ্যে নয়৷ বন্ধ দরজার পেছনে কি বলা হচ্ছে, সে আরেক কথা৷'' তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দৃশ্যত কালস্টাটের বাসিন্দাদের একটি বৈশিষ্ট্য পেয়েছেন: ‘‘আমরা আমাদের মনোভাব জোরগলায় প্রকাশ করতে ভালোবাসি'', বললেন কালস্টাটের এক অধিবাসী৷

Kallstadt Rheinland-Pfalz
ছবি: Getty Images/T.Lohnes

কালস্টাটে #ড্রাম্ফ বলে কেউ নেই

লাস্ট উইক টুনাইট শো-র কমেডিয়ান জন অলিভার-এর সূচিত হ্যাশট্যাগটিকে ঘিরে সারা দুনিয়ায় যে হাইপ চলেছে, তা বোঝার ক্ষমতা কালস্টাটে কারো নেই৷ ডোনাল্ড ট্রাম্পের পিতামহ ১৮৮৫ সালে মার্কিন মুলুকে যাত্রা করেন, অভিবাসী হিসেবে৷ তখন তাঁর বয়স ছিল ১৬ – কিন্তু তাঁর নাম ‘ড্রাম্ফ' ছিল না৷ বংশের আদিনাম হলেও, ড্রাম্ফ নামটি নেপোলিয়নের আমলে, অর্থাৎ ঊনবিংশ শতাব্দী শুরু হওয়ার সময় বদলে ‘ট্রুম্প' করে নেওয়া হয়েছিল৷

সব মিলিয়ে দেখা গেল, কালস্টাটের মানুষজন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে আদিখ্যেতা করতে রাজি নন, অন্তত আপাতত নন৷ ট্রাম্প রিপাবলিকানদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হলে....এমনকি পরে প্রেসিডেন্ট হলে (!?)....তখন না হয় আরেকবার জিগ্যেস করে নেওয়া যাবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান