1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চলচ্চিত্রে নতুন মোড়

১২ এপ্রিল ২০১৩

ড্রোন মানেই সন্ত্রাসীদের খতম করার উড়ন্ত কোনো যন্ত্র নয়৷ আর আজকাল তো ড্রোন-এর ক্ষমতা যেমন বাড়ছে, তেমনই কমে চলেছে দাম! এমনকি চলচ্চিত্র নির্মাতারাও ড্রোন ব্যবহার করছেন৷

https://p.dw.com/p/18F1u
ছবি: picture-alliance/dpa

ড্রোনে বসানো ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবি দেখলে মনে হয় ঠিক যেন কম্পিউটার অ্যানিমেশন৷ এই ‘উড়ন্ত চোখ' তৈরি করেছে বার্লিনের এক কোম্পানি৷ ওএম স্টুডিওস ড্রোন দিয়ে এমন সব দৃশ্য সম্ভব করছে, যা স্টেফান ম্যুলার-এর মতো ক্যামেরাম্যান এতদিন শুধু কল্পনাই করতে পারতেন৷

Screenshot der Sendung Futurando 20 Drohnenfilmer
‘অক্টোকপ্টার'এর কেরামতি দেখার মতোছবি: DW

তাঁর মতে, ড্রোন দেখে আসলে মানুষ ভাবতেই পারে না, যে একটা ক্যামেরা৷ এমন ক্যামেরা হাতে পেলে বাড়াবাড়ি করা যেতে পারে বটে, আবার এই প্রযুক্তি ঠিকমতো কাজে লাগানোও যেতে পারে৷ ঠিক এই কারণে অনেকেই ড্রোন-ক্যামেরা দেখে মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছে, চলচ্চিত্রে এর ব্যবহারও বাড়ছে৷

প্রায় ১৩ কিলোগ্রাম ওজনের ‘অক্টোকপ্টার' নামের উড়ন্ত বস্তু দিয়ে ভিডিও ছবি তোলা হয়৷ হেলিকপ্টারের একটি পাখা থেকে – আর এই অক্টোকপ্টার-এর রয়েছে ৮টি পাখা! প্রায় আড়াই কেজি ভারি ডিজিটাল ভিডিও ক্যামেরা কাঁধে নিয়ে উড়ে এই যন্ত্র৷ এই প্রযুক্তি খুবই নতুন, কারণ এই ধরণের ড্রোন তৈরির জন্য যে ধরণের ইঞ্জিন ও ব্যাটারির প্রয়োজন, তা বছর দুই-তিন আগেও সম্ভব ছিল না৷

Aigner sieht Risiken bei Kamera Drohnen Flash-Galerie
মানুষের আরও নাগালে প্চলে আসছে রযুক্তিছবি: picture alliance/dpa

ড্রোন ক্যামেরাকে ৩০০ মিটার রেঞ্জের মধ্যে রাখতে হয়৷ এটা দিয়ে শুটিং করার সময় খুব মনোযোগ দিতে হয়৷ কেননা ড্রোন আছড়ে পড়লে সব পণ্ড হয়ে যেতে পারে৷ তার উপর ব্লেডগুলি আবার বেশ ধারালো৷ ক্যামেরা সহ এমন ড্রোনের দামও কম নয় – প্রায় ১০,০০০ ইউরো৷ তাই শুটিং-এর সময় নার্ভাস হলে চলে না৷ ৬ মিনিটেই ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে যায়৷ তবে নিরাপত্তার কারণে ৩ মিনিটের বেশি ওড়ানো হয় না ড্রোনটিকে৷

আসল হেলিকপ্টার দিয়ে নীচে নেমে শুটিং করা যায় না৷ অথবা করা গেলেও এত বালি উড়বে যে চারিদিকে ঝোড়ো বাতাস বইয়ে যাবে৷

এসবি/জেডএইচ