ডয়চে ভেলে 'অবাঞ্ছিত', বলছেন রাশিয়ার এমপি-রা
২১ আগস্ট ২০২৪রাশিয়ার পার্লামেন্ট একটি অবাঞ্ছিত প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করেছে। যার অর্থ, ওই প্রতিষ্ঠানগুলিকে দেশের সর্বত্র ব্যান বা নিষিদ্ধ করা হবে। সেই তালিকায় ডয়চে ভেলে এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলকে ঢোকানোর কথা বলা হয়েছে।
এমপি-দের এই প্রস্তাব ইতিমধ্যেই প্রসেকিউটার জেনারেলের অফিসে পাঠানো হয়েছে। নিরাপত্তা বিষয়ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান একথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, অবাঞ্ছিতের তালিকায় কোনো সংস্থাকে ঢোকানো হলে তার সমস্ত অফিস, অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়। বন্ধ করে দেয়া হতে পারে ডয়চে ভেলের ডিস্ট্রিবিউশনও। ফলে দেশের কোথাও কোনো মাধ্যমে ডয়চে ভেলে দেখানো যাবে না। কেউ যদি ডয়চে ভেলের সঙ্গে কোনোভাবে যুক্ত হন, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এখন ফরেন এজেন্ট
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ায় ডয়চে ভেলে দেখানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই বছরের মার্চে ডয়চে ভেলেকে ফরেন এজেন্টের তকমা দেওয়া হয়। ডয়চে ভেলের ডিরেক্টর জেনারেল পিটার লিমবুর্গ এই পদক্ষেপের সমালোচনা এবং নিন্দা করেছিলেন।
অবাঞ্ছিতের তালিকা
চলতি মাসে রাশিয়ার পার্লামেন্ট একটি নতুন আইন প্রণয়ন করেছে। সেখানে এই অবাঞ্ছিত বা আনডিজায়েরেবল সংস্থার কথা বলা হয়েছে। এর আগে বিরুদ্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী, মানবাধিকার সংগঠন, পরিবেশ বিষয়ক সংস্থাকে অবাঞ্ছিত সংস্থার তালিকায় আনা হতো। এখন সেখানে সংবাদমাধ্যমকে ঢোকানো হয়েছে।
বলা হয়েছে, কোনো সংস্থার কর্মকর্তারা বিদেশি হলেই ওই সংস্থাকে অবাঞ্ছিত বলে ঘোষণা করা যাবে। এই ধরনের সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকলে বিপুল পরিমাণ জরিমানা দিতে হবে। চার বছর পর্যন্ত জেলও হতে পারে। আর এই ধরনের সংস্থাকে টাকা দিলে পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়ায় এমন অবাঞ্ছিত সংস্থার সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে।
এসজি/জিএইচ (ডয়চে ভেলে)