তিমি মাছেরা চটুল গান ভালোবাসে
১৫ এপ্রিল ২০১১কুঁজওয়ালা তিমিদের মধ্যে একমাত্র পুরুষরাই গেয়ে থাকে, মহিলা তিমিদের মন জয় করার আশায়৷ কিন্তু মজা হল এই যে, বংশাবলীর বিচারে যে সব তিমি গোষ্ঠীরা সম্পূর্ণ অনাত্মীয়, তাদের পুরুষদেরও ঐ একই হিট সুর গাইতে শোনা যায় একেবারে অস্ট্রেলিয়া থেকে ফরাসি পলিনেশিয়া অবধি৷ স্বভাবতই, সকলেরই গান গাওয়াটা চলে সাথী খোঁজার মরশুমে৷
জীববিদ্যা সংক্রান্ত মার্কিন পত্রিকা ‘কারেন্ট বায়োলজি'-তে এক অস্ট্রেলীয় গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে৷ তা'তে বলা হয়েছে যে, তিমি মাছদের মধ্যে কিং অফ পপ বলে যদি কেউ থাকে, তবে তার বাস সম্ভবত অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলে৷ কেননা গত দশ বছর ধরে তিমিদের সব হিট সুর ঠিক ঐ এলাকা থেকেই বেরিয়েছে৷
মনুষ্যজগতের হিট গানের মতোই, তিমিদের হিট সুরও হয় সহজ সরল৷ তা'তে বিশেষ কোনো প্যাঁচ কি কারিকুরি থাকে না৷ আবার দেখা যায়, হঠাৎ হয়তো কোনো তিমি চলতি হিট সুরটা ছেড়ে সম্পূর্ণ নতুন ধরণের একটা সুর গাইছে৷ যার একটা অর্থ হতে পারে যে, সেই তিমি তরুণীদের বলছে, দ্যাখো, আমি অন্যদের মতো নই, আমি আলাদা৷
তিমিদের গোলমাল তো এক নয়, অনেক৷ টন টন ওজন, ধরিত্রীর বৃহত্তম জীব৷ বলা হয় মাছ, অথচ স্তন্যপায়ী৷ তার ওপর আবার এই গান, যেন পাখি৷ এবং বিরাট একটা ভৌগোলিক এলাকা জুড়ে এই যে গতিশীল সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের নিদর্শন, তিমি শ্রবণেন্দ্রিয়ের পক্ষে সুখদায়ক এই হিট সুর: এর থেকে প্রমাণ হয় যে মানব সংস্কৃতি থেকেও তিমিরা বড় বেশি দূরে নয়৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম