তুরস্কে সন্ত্রাসী আক্রমণ, কুর্দদের উপর পাল্টা বিমান হামলা
২৪ অক্টোবর ২০২৪টিইউএসএএস থেকে বিস্ফোরণ ও গুলির আওয়াজ পাওয়া গেছে। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদীরা আক্রমণ করেছিল। তার ফলে মানুষ হতাহত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান বলেছেন, ''আমি এই জঘন্য আক্রমণের নিন্দা করি।'' এর্দোয়ান এখন ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ায় গেছেন। সেখান থেকেই তিনি এই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দুইজন আক্রমণকারী নিহত হয়েছে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বৃহস্পতিবার ভোরে জানিয়েছেন, সিরিয়া ও ইরাকে কু্র্দ সন্ত্রাসবাদীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা করা হয়েছে।
টিইউএসএএস কারখানায় যুদ্ধবিমান ও ড্রোন তৈরি হয়। মার্কিন যুদ্ধবিমান এফ১৬ তৈরির লাইসেন্সও তাদের কাছে আছে।
এখনো পর্যন্ত যা জানা গেছে
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আক্রমণকারীরা প্রথমে বিস্ফোরণ ঘটায়, তারপর গুলি চালাতে থাকে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, কাহরামানকাজানে কালো ধোঁয়া উপরে উঠছে। এই শহরটি আঙ্কারা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে।
তুরস্কের এনটিভি নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, একটা ট্যাক্সি করে একদল আক্রমণকারী অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। ঢোকার মুখে গেটেই তারা প্রথমে বিস্ফোরণ ঘটায়।
পিকেকে-র বিরুদ্ধে অভিয়োগ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ''বেআইনি সংগঠন কুর্দিশ ওয়ার্কার্স পার্টি(পিকেকে) সম্ভবত এই কাজ করেছে। আক্রমণকারীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। আঙুলের ছাপ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। শীঘ্রই আমরা বলতে পারব, কোন সংগঠন এই কাজ করেছে। কিন্তু যেভাবে এই আক্রমণ হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে, এটা পিকেকে-র কাজ।''
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসার গুলেরও পিকেকে-কেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, ''আগেও পিকেকে দুর্বৃত্তদের প্রাপ্য শাস্তি দেয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও তাদের হুঁশ হয়নি। শেষ সন্ত্রাসীকে নিকেশ করা পর্যন্ত আমরা তাদের পিছু ছাড়ব না।''
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরাক ও সিরিয়ায় সন্ত্রাসবাদীদের মোট ৩২টি টার্গেটে বিমান হামলা করা হয় এবং তা ধ্বংস করা হয়েছে।
তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ পিকেকে-কে নিষিদ্ধ সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)