1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘শিট হোল'-এর সঙ্গে তুলনা?

১২ জানুয়ারি ২০১৮

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেন সব ‘শিটহোল' বা খাটা পায়খানার মতো দেশ থেকে অভিবাসনের সুযোগ দিচ্ছে – ওভাল অফিসে দু'জন সেনেটরের সঙ্গে আলোচনার সময় এই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য৷

https://p.dw.com/p/2qjwS
US-Präsident Donald Trump
ছবি: picture-alliance/abaca/O. Douliery

বৃহস্পতিবারের ঐ ব্রিফিংয়ে ট্রাম্পকে একটি উভয়দলীয় অভিবাসন পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করা হচ্ছিল, যে পরিকল্পনার ফলে, বিশেষ করে আফ্রিকা, হাইতি ও ল্যাটিন অ্যামেরিকার কিছু দেশ থেকে আগত অভিবাসীরা প্রভাবিত হবেন৷

‘‘আমরা কেন এইসব শিট হোলের মতো দেশ থেকে মানুষদের এখানে আসতে দিচ্ছি?'' ওভাল অফিসে উপস্থিত বিধায়কদের কাছে প্রশ্ন রাখেন ট্রাম্প৷ তার পরিবর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নরওয়ের মতো দেশ থেকে আরো বেশি অভিবাসী নেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷ ওয়াশিংটন পোস্ট এ খবর জানিয়েছে৷ এর আগের দিনই ট্রাম্প নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এর্না সলবার্গের সঙ্গে মিলিত হন৷

Trump pushes bipartisan immigration deal

রিপাবলিকান সেনেটর লিন্ডসে গ্র্যাহাম ও ডেমোক্র্যাট সেনেটর ডিক ডার্বিনের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের সাক্ষাতে অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা ও বিধায়করাও উপস্থিত ছিলেন৷ আলোচ্য বিষয় ছিল, যেসব অপ্রাপ্তবয়স্ক বা প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে পলায়নপর মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে আসেন, তাদের জন্য একটি বাইপার্টিজান বা উভয়দলীয় অভিবাসন পরিকল্পনা৷ ছ'জন সেনেটরের একটি উভয়দলীয় গোষ্ঠী এই পরিকল্পনার প্রাথমিক খসড়া নিয়ে কাজ করছেন৷ মেক্সিকো সীমান্তে তাঁর পরিকল্পিত প্রাকারের প্রথম অংশ নির্মাণের জন্য ট্রাম্প যে ১৬০ কোটি ডলার অর্থ চেয়েছেন, তা-ও এই পরিকল্পনায় বিবেচিত হবার কথা৷ বৃহস্পতিবার ট্রাম্প খসড়া প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেন৷

বার্তা সংস্থা এপি'র বিবরণে হোয়াইট হাউসে বৃহস্পতিবারের সভা সম্পর্কে যাঁদের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে, তাঁরা সবাই পত্রিকাটির প্রতিবেদনের সত্যতা বা নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বীকার করেছেন৷

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র রাজ শাহ-কে মন্তব্য করতে বলা হলে, তিনি ট্রাম্পের উক্তির কথা অস্বীকার না করে বলেন, ‘‘ওয়াশিংটনের কিছু রাজনীতিক বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের জন্য সংগ্রাম করতে পছন্দ করেন, কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চিরকালই মার্কিন জনগণের জন্য সংগ্রাম করবেন৷''

মার্কিন কংগ্রেসের ব্ল্যাক ককাস বা কৃষ্ণাঙ্গ সদস্যদের গোষ্ঠীর সভাপতি সেড্রিক এল রিচমন্ড ট্রাম্পের উক্তি সম্পর্কে তাঁর টুইটে বলেন, ঐ উক্তি আবার প্রমাণ করে যে, ট্রাম্পের ‘মেক অ্যামেরিকা গ্রেট এগেইন' কর্মসূচি বস্তুত একটি ‘মেক অ্যামেরিকা হোয়াইট এগেইন' কর্মসূচি, অর্থাৎ মহান নয়, অ্যামেরিকাকে পুরোপুরি শ্বেতাঙ্গ করে তোলাই ট্রাম্পের উদ্দেশ্য৷

রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য মিয়া লাভ নিজে হাইতিয়ান বংশোদ্ভূত৷ তিনি ট্রাম্পের কাছে তাঁর ‘অগ্রহণযোগ্য' আচরণের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা দাবি করেছেন৷

ইতিপূর্বে ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা করে যে, সাময়িক রেসিডেন্সি কর্মসূচির কল্যাণে যে প্রায় ৬০,০০০ হাইতিয়ান যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন, প্রশাসন সেই কর্মসূচির অবসান ঘটাতে চায়৷ এছাড়া হোয়াইট হাউস তথাকথিত ‘ড্রিমার'-দের ক্ষেত্রেও পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে৷ ‘ড্রিমার' বলতে বোঝায় সেই সব শিশুকে, যাদের বেআইনিভাবে যুক্তরাষ্ট্রে আনা হয়েছে৷ এই শিশুদের বহিষ্কার করা যায় না, কারণ তথাকথিত ‘ডাকা' (ডেফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভাল্স বা ডিএসিএ) আইন তাদের সুরক্ষা দিচ্ছে৷

এসি/এসিবি (এপি, ডিপিএ)