1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজদক্ষিণ কোরিয়া

দক্ষিণ কোরিয়ার কন্টেন্টে মজেছে নেটফ্লিক্স

২ মে ২০২৩

নেটফ্লিক্স মাতিয়ে চলেছে দক্ষিণ কোরিয়ার কন্টেন্ট৷ ‘স্কুইড গেমস', ‘অল অব আস আর ডেড'-এর মতো সিরিজগুলো এশিয়ার গণ্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে বিশ্বের প্রায় সব দেশের দর্শকদের ড্রয়িংরুমে৷

https://p.dw.com/p/4Qnt9
স্কোয়াড গেমের একটি দৃশ্য
স্কোয়াড গেমের একটি দৃশ্যছবি: Netflix/Entertainment Pictures/ZUMAPRESS.com/picture alliance

এর রহস্য কী? কেন দক্ষিণ কোরিয়ার কন্টেন্টের এমন তুমুল বৈশ্বিক চাহিদা? কেন ‘এক্সট্রা অর্ডিনারি অ্যাটর্নি উ' বা ‘দ্য গ্লোরি' দেখতে বসে বিশ্বের সব দেশের মানুষই ভুলে যান দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে তার বা তার সংস্কৃতির সব পার্থক্য?

স্কুইড গেম নেটফ্লিক্স ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি দর্শকনন্দিত সিরিজ হওয়ার পর এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন অনেকেই৷

দক্ষিণ কোরিয়ার ‘কন্টেন্ট'-এর চাহিদা শুধু নেটফ্লিক্সেসীমাবদ্ধ নেই৷ ২০১৯ সালে প্রথম অ-ইংরেজি মুভি হিসেবে অস্কারসেরার পুরষ্কার পেয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ‘প্যারাসাইট'৷ তার অনেক আগে থেকেই কিশোর-তরুণদের মন জয় করে আসছে কে-পপ৷ তাই খুব অল্প সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ‘এন্টারটেইনমেন্ট সুপারপাওয়ার' হওয়ার কারণ অন্বেষণ করতে গিয়ে শুরুতে কে-পপের কথাই বললেন ডেভিড টিজার্ড৷ সৌল উইমেন'স ইউনিভার্সিটির সহকারি অধ্যাপক টিজার্ড মনে করেন, কে-পপের মাধ্যমেই দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতি প্রথম বিশ্বের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে শুরু করেছিল৷ এখন ‘কে' বললে অনেকে কোরিয়াই বোঝেন৷  ডেভিড টিজার্ড বলেন,

‘‘এখন তো কোরিয়ার কে বলতেও অনেকে ‘কুল' বোঝেন৷ কোরিয়ান খাবার, মেকআপ, গেমস, ভ্লগ, সাধারণ কন্টেন্ট, মিউজিক এবং নাটক সবকিছুরই আন্তর্জাতিক বাজারে তাই এখন দুর্দান্ত চাহিদা৷''

দক্ষিণ কোরিয়ায় নেটফ্লিক্সের বিশাল বিনিয়োগ

গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ায় সৃষ্টিশীল কন্টেন্ট তৈরির জন্য আড়াইশ কোটি ডলার (২২ কোটি ২৭ লাখ ইউরো) বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে নেটফ্লিক্স৷ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইয়েওল এবং নেটফ্লিক্সের সিইও টিড সারান্ডস-এর এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়৷ ওয়াশিংটে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে ‘বিনিয়োগের সাহসী এ সিদ্ধান্তের' জন্য নেটফ্লিক্সকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইউন সুক-ইয়েওল বলেন, ‘‘এ বিনিয়োগ যে শুধু কন্টেন্ট শিল্প বা শো প্রস্তুতকারীদের জন্যই চমৎকার সুযোগ সৃষ্টি করবে তা কিন্তু নয়, এটা নেটফ্লিক্সের জন্যও খুব বড় সুযোগ৷''

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কথায় ভিন্নমত পোষণের কোনো কারণ দেখছেন না স্যারান্ডন৷ তিনি কোরিয়ার কন্টেন্টকেই দিয়েছেন এমন বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগের মূল কৃতিত্ব, ‘‘আমরা এ (বিনিয়োগের) সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছি, কারণ, কোরিয়ার কন্টেন্ট শিল্পের ওপর আস্থা আছে আমাদের৷ আশা করি আগামীতেরও আমরা অসাধারণ সব গল্প তৈরি করতে পারবো৷''

টিজার্ড জানালেন নেটফ্লিক্স-ভুবনে ইতিমধ্যে সাফল্যের অসাধারণ এক গল্প রচনা করে ফেলেছে দক্ষিণ কোরিয়ার কন্টেন্ট৷ এ মুহূর্তে নেটফ্লিক্সের মোট সাবস্ক্রাইবার দুই কোটি ৩০ লাখ৷ ১৯০ টি দেশের এই দুই কোটি ৩০ লাখ সাবস্ক্রাইবারের মধ্যে কমপক্ষে ৬০ মানুষ একবার হলেও নেটফ্লিক্সে দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো না কোনো কন্টেন্ট দেখেছেন৷ মাত্র পাঁচ কোটি ১৭ লাখ মানুষের দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার কন্টেন্ট যত দর্শকের মন জয় করতে পেরেছে, বিশ্বের আর কোনো দেশের কন্টেন্ট কিন্তু তা পারেনি৷

জুলিয়ান রায়াল/ এসিবি