দিল্লিতে কোরবানি ঈদ : চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে খাসি, ভেড়া
দিল্লিতে জমজমাট ঈদের বাজার। জামে মসজিদের পাশে এসে গিয়েছেন পশু-ব্যবসায়ীরা। প্রচুর দামে বিক্রি হচ্ছে খাসি ও ভেড়া।
প্রচুর পশু
রোববার বকরিদ। তার আগে জমে উঠেছে জামে মসজিদের পাশে পশু-বাজার। তবে এবার দাম বেশ চড়া। খাসি ও ভেড়া বিক্রি হচ্ছে ১০ হাজার থেকে ছয় লাখ টাকা দামে।
আকর্ষণ শেরু
এই ভেড়াটির নাম শেরু। শেরুর ওজন ১১০ কিলোগ্রাম। জামে মসজিদের পাশের পশু বাজারে অন্যতম আকর্ষণ হলো এই শেরু।
বিপুল দামে
বৃহস্পতিবার শেরু বিক্রি হয়েছে দুই লাখ ৭০ হাজার টাকায়। গর্বিত বিক্রেতা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার এটাই ছিল সর্বোচ্চ দাম।
ছয় লাখের খাসি
এই খাসির দাম ছয় লাখ টাকা। বিক্রেতার বক্তব্য, এত দাম হওয়ার কারণ হলো, এই খাসিটির বৈশিষ্ট্য। তার গায়ে এমন কিছু লেখা আছে, যা দেখে মানুষ এই দাম দিয়ে তা কিনবে। তবে সেই লেখা তিনি দেখাননি।
তিন রাজ্য থেকে
জামে মসজিদের পাশে এই পশুর বাজারে খাসি ও ভেড়া আসে মূলত রাজস্থান, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ রাজ্য থেকে। বিক্রেতাদের মধ্যে মুসলিম বেশি। তবে হিন্দুরাও আছেন। পশুর বাজার ঘুরে হরিয়ানার কয়েকজন হিন্দু পশু বিক্রেতার সঙ্গে কথাও হয়েছে ডিডাব্লিউর।
পশুর দাম
এবার খাসি ও ভেড়া বিক্রি হচ্ছে ১০ হাজার থেকে ছয় লাখ টাকায়। শনিবার শেষবেলায় দাম আরো বাড়তে পারে। দশ হাজারের খাসি খুবই ছোট। তাতে মাংস খুব বেশি পাওয়া যাবে না। ১০-১৫ হাজারে যে খাসি বিক্রি হচ্ছে, তা থেকে আট থেকে ১০ কিলোগ্রাম মাংস পাওয়া যাবে।
করোনা কম বলে
গত দুই বছর করোনার ভয় ছিল। এবার দিল্লিতে করোনার ভয় তেমন নেই। ফলে পশু-বাজারে প্রচুর বিক্রেতা। তারা অস্থায়ী ছাউনির নীচে পশু বিক্রি করছেন।
জামে মসজিদ
আলোয় সেজে উঠেছে জামে মসজিদ। ঈদ আসছে। জামে মসজিদ ও তার সামনে ও আশপাশের এলাকা এখন জমজমাট।
রকমারি খেজুর
ঈদ এলে প্রচুর খেজুরের দোকান বসে জামে মসজিদের সামনে। বিভিন্ন ধরনের খেজুর পাওয়া যায় সেখানে।
ঈদের সিমাই
ঈদে সিমাই তো খেতেই হবে। জামে মসজিদের সামনে আছে সিমাইয়ের প্রচুর দোকান। নানা ধরনের সিমাই পাওয়া যাচ্ছে সেখানে।
শিরমাল রুটি
শিরমাল হলো মিষ্টি রুটি। উপরে ছড়ানো থাকে কাজু, কিসমিস, পেস্তা, বাদাম। মুঘল বাদশারা এই রুটি পছন্দ করতেন। দিল্লির ঈদে বিশেষ আকর্ষণ হলো এই শিরমাল।
নানা ধরনের পসরা
জামে মসজিদের পাশে নানা ধরনের জিনিস নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। ঈদের বিক্রিবাটা ক্রমশ জমে উঠেছে।