1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দিল্লীতে ট্রাফিক আইন ভাঙা রুখছে ফেসবুক

৪ সেপ্টেম্বর ২০১০

সামনে কমনওয়েলথ গেমস৷ একে ঘিরে ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে নিউ দিল্লিতে৷ এ কাজে ফেসবুকের মতো সামাজিক নেটওয়ার্ক টুল ব্যবহার করছে নতুন দিল্লী পুলিশ৷ এরইমধ্যে ফেসবুকে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ নিয়ে কয়েকশ’ নোটিশ দেওয়া হয়েছ৷

https://p.dw.com/p/P46c
নতুন দিল্লির রাস্তায় যানজটছবি: AP

দিল্লীর প্রধান ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম৷ সেখানে ইন্সপেক্টর যশবন্ত সিলভা সাতজন কনস্টেবলের একটি টিম নিয়ে বসে আছেন ফেসবুকের স্ক্রিনের সামনে৷ তাঁরা ফেসবুকে ট্রাফিক বিজ্ঞপ্তিগুলো দেখছেন৷ কারণ, অক্টোবরের ৩ তারিখে শুরু হচ্ছে কমনওয়েলথ গেমস৷ শেষ হবে ১৪ অক্টোবর৷ যেহেতু প্রিয় শহর নিউ দিল্লিতেই এবার এই গেমসের আয়োজন অতএব পিছিয়ে নেই শহরের সচেতন নাগরিকরাও৷ ট্রাফিক আইন ভঙ্গের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে তাঁরা নিজেরাই দিয়ে দিচ্ছেন৷ সিলভা এটা দেখে অভিভূত৷ বলছেন, গত তিন মাস ধরে ফেসবুকে এ ধরণের ছবি দেওয়া ক্রমাগত বেড়ে চলেছে৷ আর আমরা এই অভিযোগগুলো দেখছি এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ স্টেশনগুলোর সঙ্গে বসে অভিযোগগুলোর সমাধান বের করার চেষ্টা করছি৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা আইন ভঙ্গকারীদের কাছে নোটিশও পাঠাচ্ছি৷ আবার যেসব ক্ষেত্রে ঘটনাস্থলে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে আমরা সেখানে গিয়ে সরাসরি তাদেরকে জরিমানা করছি৷

বিশ্বের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে থাকে ভারতে৷ ‘জাতীয় অপরাধ তথ্য দপ্তরের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে সড়ক দুর্ঘনায় নিহতের সংখ্যা বছরে ১ লাখ ৩৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে৷ বিশেষ করে দিল্লী এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে৷ ট্রাফিক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এরইমধ্যে সেখানে নথিভূক্ত যানবাহনের সংখ্যা পঁয়ছট্টি লাখ ছাড়িয়ে গেছে এবং প্রতিদিন এই সংখ্যা প্রায় এক হাজার করে বাড়ছে৷

এ অবস্থায় পুলিশের যুগ্ম কমিশনার সত্যেন্দ্র গর্গ এর মাথায় নতুন এই ভাবনাটি প্রথমে এসেছিলো৷ তিনি ভেবেছিলেন, ফেসবুকের মাধ্যমেই নাগরিকদের সম্পৃক্ত করে আরও কার্যকরভাবে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে এবং ফেসবুকেই সাধারণ মানুষ ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদেরকে ধরিয়ে দিতে পুলিশকে সাহায্যও করতে পারে৷

সত্যেন্দ্র গর্গ জানালেন, খুব বেশিদিন হয়নি, এইতো গত মে মাস থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে এই প্রকল্পটি আমরা শুরু করেছি৷ প্রথম তিন মাসের মধ্যেই ২১ হাজারের বেশি মানুষ এতে যোগ দিয়েছেন, যা প্রমাণ করছে ব্যাপারটা যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে৷ এরইমধ্যে ৪ হাজারের বেশি ছবি ওয়েবসাইটে পোস্টও করা হয়েছে৷ সেসব ছবিতে সাধারণ মানুষ দেখিয়েছে কেবল তারাই নয়, এমনকি পুলিশও আইনভঙ্গ করছে৷ তাই আমি মনে করি, জনগণও আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে এবং সবাই অনুভব করছে সড়ক আইন মেনে না চলার প্রবণতা রোধ করার জন্য কিছু একটা অন্তত করা উঁচিত৷

আর সেই কর্তব্যটা যদি ফেসবুকের মাধ্যমে হয়ে যায় তার চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে!

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়