দুর্ঘটনার কবলে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, মৃতের সংখ্যা বেড়ে আট
১৭ জুন ২০২৪শিলিগুড়ি থেকে সকালে কলকাতার দিকে রওনা হয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, নীচবাড়ি এবং রাঙাপানি স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পিছন থেকে একটি মালগাড়ি এসে ধাক্কা মারে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে। ধাক্কার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে যাত্রীবাহী ট্রেনের পিছনের দুইটি কামরা লাইনচ্য়ূত হয়ে যায়। একটি কামরার নিচে মালগাড়ির কামরা ঢুকে গেছে। ফলে ওই কামরাটির একটি অংশ হাওয়ায় ঝুলছে। ট্রেনে বহু যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। কিছু যাত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সকলকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ঘটনায় অন্তত আট জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন রেলমন্ত্রী। যাচ্ছেন মুখ্য়মন্ত্রীও।
পূর্বরেলের তরফে জানানো হয়েছে, ''এখনো পর্যন্ত আটজনের মৃত্য়ু হয়েছে। এরমধ্য়ে তিনজন রেলকর্মী-- দুইজন মালগাড়ির লোকো পাইলট। একজন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ড। বাকি পাঁচজনের পরিচয় এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি।'' অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
পাহাড়-সহ গোটা দার্জিলিং জেলায় গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। দুর্ঘটনাস্থলেও প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। রেলের কর্মকর্তারা ছাড়াও ঘটনাস্থলে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে পৌঁছেছেন স্থানীয় মানুষ। তারাও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন। এদিকে ট্রেনের সুস্থ বা কম আহত যাত্রীদের অন্য় একটি ট্রেনে মালদা স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে তাদের পরবর্তী গন্তব্য়ে পৌঁছে দেওয়া হবে। উদ্ধারকারীদের বক্তব্য, এখনো লাইনচ্য়ূত কামরা দুইটিতে বেশ কিছু মানুষ আটকে আছেন।
সিগনালিংয়ের সমস্যার জন্য় এই দুর্ঘটনা হলো, নাকি আবহাওয়ার কারণে-- তা এখনো স্পষ্ট নয়। তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে সবার আগে আহত যাত্রীদের উদ্ধার করাই রেলের প্রথম কাজ। এখনো পর্যন্ত কারো মৃত্য়ুর কথা জানা যায়নি।
ঘটনার পর এক্স হ্যান্ডেলে একটি বিবৃতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তিনি লিখেছেন, 'জেলাশাসক, এসপি, চিকিৎসক এবং অ্যাম্বুল্য়ান্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।'
রেলের তরফে দুর্ঘটনার কারণ বিষয়ে এখনো কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পৌঁছে গেছে বলে জানানো হয়েছে। জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতার পথে মূল লাইনে এই দুর্ঘটনা ঘটায় আপাতত ওই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, সকালের দিকে ওই লাইন দিয়ে একাধিক ট্রেন যাতায়াত করে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই)