দুর্নীতি মামলায় এবার সু চির পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
২৭ এপ্রিল ২০২২এখন পর্যন্ত ২টি মামলায় সু চির ৬ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে৷ রয়টার্স জানিয়েছে, ইয়াঙ্গনের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফিও মিন থেইনের কাছ থেকে ৬ লাখ ডলার এবং ১১ দশমিক ৪ কেজি সোনা ঘুষ নেওয়ার মামলায় বুধবার এ রায় দিয়েছেন আদালত।
শান্তিতে নোবেলজয়ী মিয়ানমারের নেত্রী সু চির বিরুদ্ধে যে ১১টি অভিযোগ এনেছে দেশটির সামরিক জান্তা, তার মধ্যে প্রথম দুর্নীতি মামলায় তার সাজার রায় এল৷
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে ৭৬ বছর বয়সি সু চির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে মোট ১৮টি মামলা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে আছে দুর্নীতি, নির্বাচনী আইন ও রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনের লঙ্ঘন।
এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে সু চির সর্বোচ্চ ১৫০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
সু চি তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। নাম না প্রকাশ করার শর্তে সূত্রটি আরও জানান, আদালতের অধিবেশন শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিচারক রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা এবং নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। বুধবারের রায়ের আগে, দেশের করোনভাইরাস মহামারী নিয়ম লঙ্ঘনের পাশাপাশি অবৈধভাবে ওয়াকি-টকি আমদানি করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে সু চিকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
মিয়ানমারে সামরিক জান্তার বিশেষ আদালতে সু চির বিরুদ্ধে রুদ্ধদ্বার বিচার হচ্ছে, যার খবর কোন গণ মাধ্যমকে জানানো হচ্ছে না। সু চির আইনজীবীদেরকেও সংবাদ মাধ্যমের সাথে যোগাযোগ করতে দেয়া হচ্ছেনা।
গত ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর সু চির নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। তখন থেকেই সু চি গৃহবন্দি অবস্থায় আছেন।
স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছে, এই বিক্ষোভের কারণে এখন পর্যন্ত ১৭০০ জন মানুষ নিহত হয়েছে।
এএস/ এপিবি(রয়টার্স, এপি, ডিপিএ)