দুর্নীতির মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে
১০ নভেম্বর ২০২১চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান বুধবার আদেশ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক প্রথম আলোকে৷ তিনি বলেন, দুর্নীতির মামলায় পুলিশের এক এসআই আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন৷ আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠান৷
প্রথম আলোতে ২০২০ সালের ৮ মার্চ ‘এসআইয়ের কোটিপতি স্ত্রী' শিরোনামের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ৷ একই দিনে এসআই নওয়াবের স্ত্রী গোলজার বেগম আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান৷ চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলজার বেগম পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান৷
মামলায় দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে গোলজার বেগম, তার স্বামী এসআই নওয়াব আলীসহ চার আসামির বিরুদ্ধে আদালত গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন বলে জানান আইনজীবী মাহমুদুল হক৷
দুদকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নওয়াব আলী ১৯৯২ সালে কনস্টেবল পদে যোগ দেন৷ স্ত্রী গোলজার বেগমকে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকার মালিক সাজিয়েছেন তিনি৷ কাগজপত্রে মাছ চাষ থেকে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা আয় দেখালেও বাস্তবে মাছ চাষের কোনো অস্তিস্ত নেই৷
এসআই নওয়াব আলী, তার স্ত্রী গোলজার বেগম, কর অঞ্চল-১ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) বাহার উদ্দিন চৌধুরী ও কর পরিদর্শক দীপংকর ঘোষকে আসামি করে আদালতে দুদক অভিযোগপত্র দিয়েছে৷
দুদকের তদন্তে পাওয়া গেছে , নওয়াব আলীর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরের কেকানিয়া এলাকায়৷ সেখানে নিজের নামে তিনি ২০১৩ সালে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ জমির ওপর একটি দোতলা বাড়ি নির্মাণ করেন৷ স্ত্রীর নামে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ছলিমপুরে ৩৫৪ শতক জমি, চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার এলাকায় পার্কিংসহ ১ হাজার ১০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, একই এলাকায় ৪ শতক জমিসহ একটি মাইক্রোবাসও রয়েছে৷
মিরসরাইয়ের পশ্চিম ইছাখালীর মদ্দারহাটে হারেস আহমদ, আমিনুল হক, জাহাঙ্গীর আলম, শওকত আকবরসহ সাতজনের সঙ্গে চুক্তি করে একটি জলমহাল ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করেছেন বলে দাবি গোলজারের৷ তবে হারেস আহমদসহ যেসব ব্যক্তির সঙ্গে মাছ চাষের চুক্তি দেখানো হয়েছে, তারা ২০ বছর আগে মারা গেছেন বলে দুদকের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে৷
এনএস/কেএম (দৈনিক প্রথম আলো)