সাংবাদিকতা কাশ্মীর স্টাইল
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯একটি জাতীয় পত্রিকায় কাজ করেন ইশফাক তন্ত্রী৷ তাঁর টেবিলে যে কম্পিউটারটি রয়েছে সেখানে কোনো ইন্টারনেট সংযোগ নেই৷ অফিসের টেলিফোন লাইনও কাজ করেনা৷
তাই কম্পিউটারে রিপোর্ট লেখার পর সেটি প্রধান কার্যালয়ে পাঠাতে ইশফাককে সরকার পরিচালিত একটি মিডিয়া সেন্টারে ছুটতে হয়৷ সেখানে শত শত স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সাংবাদিকের জন্য ইন্টারনেট সংযোগসহ মাত্র পাঁচটি কম্পিউটার রয়েছে৷ এর একটি ব্যবহার করেই প্রধান কার্যালয়ে রিপোর্ট পাঠান ইশফাক৷
এতো গেল রিপোর্ট পাঠানোর সমস্যার কথা৷ কিন্তু সাংবাদিকের মূল যে কাজ রিপোর্ট সংগ্রহ করা, সেটি টেলিফোন আর ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া অনেকটাই কঠিন৷ তার ওপর আছে সরকারের হস্তক্ষেপ৷
ডয়চে ভেলেকে ইশফাক জানালেন, ইতিমধ্যে সরকারি কর্মকর্তারা অনেক সাংবাদিককে ডেকে নিয়ে তথ্যের সূত্র সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন৷ ‘‘এটা এক ধরনের হুমকি ও বলপ্রয়োগ,'' বলে মনে করছেন তিনি৷
রাস্তাঘাটে প্রায়ই ছবি তোলায়ও বাধা দিচ্ছেন কাশ্মীরের নিরাপত্তাকর্মীরা৷ যেমন ডয়চে ভেলের সাংবাদিক নিমিশা জেসওয়ালকে ছবি তোলায় বাধা দিয়েছেন এক পুলিশ৷ কী কারণে এমন করা হচ্ছে, জানতে চাইলে ঐ পুলিশ কোনো উত্তর দেননি৷
এমন পরিস্থিতিতে টিভি কিংবা সংবাদপত্রের খবরে আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন কাশ্মীরের মানুষ৷ যেমন শ্রীনগরের এক বাসিন্দা ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘আমরা কোনো খবর পাইনা৷ ভারতীয় গণমাধ্যমে ভুয়া খবর প্রকাশিত হচ্ছে৷ তারা বলছে, সব স্কুল খোলা, দোকানপাট খোলা, গাড়িও চলছে৷ কিন্তু আপনার চারদিকে তাকিয়ে দেখুন, আপনি এখন শ্রীনগরের কেন্দ্রে আছেন, অথচ সব দোকান বন্ধ, স্কুলও বন্ধ৷ মানুষ সবাই হতাশায় রয়েছেন৷''
নিমিশা জেসওয়াল/জেডএইচ