1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন খসড়া প্রস্তাব

২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১

সিরিয়ায় গণতন্ত্রকামী বিক্ষোভকারীদের উপর সরকারি বাহিনীর দমন-পীড়ন অব্যাহত রয়েছে৷ এদিকে সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন বন্ধে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের উপর চাপ বাড়ানোর প্রক্রিয়া নিয়ে ইউরোপীয় শিবিরে কিছুটা নরম সুর৷

https://p.dw.com/p/12iWH
In this citizen journalism image made on a mobile phone and provided by Shaam News Network, Anti-Syrian President Bashar Assad protesters, hold up Arabic placards reading:"We need international protection, help the Syrian people, Gadhafi didn't stay so how Assad stay," during a demonstration against the Syrian regime, in Homs, Syria, on Friday Aug. 26, 2011. Syrian security forces killed at least two people as tens of thousands of anti-government protesters flooded the streets on the last Friday of the holy month of Ramadan, a time that many activists hoped would become a turning point in the uprising. (Foto:Shaam News Network/AP/dapd) EDITORIAL USE ONLY, NO SALES, THE ASSOCIATED PRESS IS UNABLE TO INDEPENDENTLY VERIFY THE AUTHENTICITY, CONTENT, LOCATION OR DATE OF THIS HANDOUT PHOTO
ফাইল ছবিছবি: dapd

সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর দমন-পীড়ন বন্ধে দেশটির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদনের জন্য একটি নতুন খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে৷ এর একটি কপি মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপি'র কাছেও পৌঁছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং পর্তুগাল এই খসড়া প্রস্তাব তৈরি করে৷ কিন্তু চীন এবং রাশিয়া এটি অনুমোদনে ভেটো দেবে এমন হুমকির কারণে নতিন প্রস্তাবে দেখা যাচ্ছে কিছুটা নরম সুর৷ অবশ্য এই প্রস্তাবটির পক্ষে সমর্থন বাড়বে বলে আশা করছেন ইউরোপীয় কূটনীতিকরা৷ এই প্রস্তাবের বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইউরোপীয় এক কূটনীতিক বলেন, ‘‘সেখানকার নির্যাতনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পরিষদের শক্ত অবস্থান জরুরি৷'' অপর এক কূটনীতিক বলেন, ‘‘নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রস্তাবের পক্ষে শীঘ্রই সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভ করা সম্ভব হবে বলে আশা রয়েছে৷''

সাম্প্রতিক এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন দামেস্ক প্রশাসনের হত্যা ও নির্যাতন নীতির বিরুদ্ধে সপ্তমবারের মতো কড়া উদ্যোগ নিল৷ ইইউ ইতিমধ্যে সিরিয়ার ৫৬ জন শীর্ষ নাগরিক এবং ১৮ টি দপ্তরকে কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে৷ তাদের উপর ইউরোপ সফরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং তাদের সম্পদ আটকে দিয়েছে ইইউ৷ ইইউ'এর পাশাপাশি মার্কিন প্রশাসনও আসাদ সরকারের দমন-পীড়ন বন্ধে তিন দফা পদক্ষেপ নিয়েছে৷ এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও সিরীয় নেতা আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন৷ তবে সিরিয়ায় গত মার্চ থেকে চলমান বিক্ষোভ-আন্দোলন নিয়ে মাত্র একবার বিবৃতি দিয়েছে চীন ও রাশিয়া৷

Syria's United Nations Ambassador Fayssal Mekdad, at end of the circular table, foreground left, addrreses the UN Security Council, Tuesday Oct. 25, 2005. The chief investigator into the assassination of former Lebanese prime minister Rafik Hariri urged Syria on Tuesday to cooperate better with his team so it can "fill in the gaps" about the organizers and perpetrators of the terrorist act. (AP Photo/Richard Drew)
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদছবি: AP

পশ্চিমা গোষ্ঠীর এসব পদক্ষেপের প্রভাব সিরিয়ার উপর পড়তে শুরু করেছে৷ যার সাম্প্রতিক প্রমাণ পাঁচ শতাংশের বেশি শুল্ক বিশিষ্ট সকল পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করার সিরীয় সিদ্ধান্ত৷ আসাদ প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় খুব আশ্চর্য হলেও দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আদিব মায়ালেহ বলছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে সিরিয়া বার্ষিক ৪.৪ বিলিয়ন ইউরো বাঁচাতে পারবে৷ তিনি আরো জানান, সিরিয়ার বর্তমান সংরক্ষিত মুদ্রা তহবিল ১৭ বিলিয়নেরও বেশি এবং এটির সুরক্ষার জন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবেই সরকার আমদানির উপর এই সীমা টেনে দিয়েছে৷ তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে গাড়ি, আবাসন, আসবাবপত্র, পোশাক এবং কিছু খাদ্য সামগ্রীর দাম চড়তে শুরু করেছে৷ তাই স্থানীয় পণ্যের উপরই বেশি করে নির্ভর করতে হবে এমন উদ্বেগ ও অভিযোগ শোনা যাচ্ছে দেশটির সাধারণ মানুষের মাঝে৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান