1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচনী বন্ড: রোজগারে এক বিজেপি, দুই তৃণমূল

১৫ মার্চ ২০২৪

স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে কমিশনকে। সবচেয়ে বেশি রোজগার করেছে বিজেপি।

https://p.dw.com/p/4dXvI
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশছবি: picture-alliance/NurPhoto/N. Kachroo

২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনী বন্ড থেকে সব চেয়ে বেশি অর্থ রোজগার করেছে বিজেপি। তাদের মোট রোজগারের পরিমাণ ছয় হাজার ৬০ কোটি টাকার সামান্য বেশি। দুই নম্বরেই আছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল। এই সময়ের মধ্যে তাদের মোট রোজগার এক হাজার ৬০৯ কোটি টাকার সামান্য বেশি। তিন নম্বরে কংগ্রেস। তাদের মোট আয়ের পরিমাণ এক হাজার ৪২১ কোটি টাকার সামান্য বেশি।

গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছে ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস। এই সংস্থাটির মূল ব্যবসা লটারি। মালিক স্যানটিয়াগো মার্টিন। দুর্নীতি এবং টাকা নয়-ছয়ের অভিযোগে একাধিকবার এই সংস্থায় হানা দিয়েছে ইডি এবং সিবিআই। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (এসবিআই) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই সংস্থাটি গত পাঁচ বছরে এক হাজার ৩৬৮কোটি টাকার বন্ড কিনেছে। তবে বন্ড কেনার ক্ষেত্রে ভারতের প্রায় সমস্ত ছোট-বড় সংস্থার নামই মিলেছে।

২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদীর সরকার ঘোষণা করেছিল, রাজনৈতিক দলগুলিকে অনুদান বা চাঁদা দেওয়ার জন্য এসবিআই থেকে ইলেক্টোরাল বন্ড বা নির্বাচনী বন্ড কিনতে পারবে বিভিন্ন সংস্থা। সেই বন্ড দেওয়া যাবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। রাজনৈতিক দলগুলি সেই বন্ড ভাঙিয়ে টাকা তুলে নিতে পারবে। এই লেনদেন সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে।

মোদী সরকারের এই নিয়ম আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট এই বন্ডকে অসাংবিধানিক এবং ক্ষতিকারক বলে ব্যাখ্যা দেয়। এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসবিআই-কে নির্দেশ দেন, নির্বাচন কমিশনের হাতে বন্ড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য তুলে দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়, ১৫ মার্চ বিকেল ৫টার মধ্যে সব তথ্য তাদের ওয়েব সাইটে দিয়ে দিতে হবে। সেই মতো ১৪ তারিখ সন্ধেতেই নির্বাচন কমিশন সমস্ত তথ্য ওয়েবসাইটে তুলে দেয়। সেখান থেকেই এই তথ্য মিলেছে।

ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট

এদিকে শুক্রবার শীর্ষ আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাদের বক্তব্য, এসবিআই যে তথ্য জমা দিয়েছে, তা অসম্পূর্ণ। বন্ডের নম্বর উল্লেখ করা হয়নি। সেই নম্বরও জানাতে হবে। বন্ডের নম্বর জানতে পারলে রাজনৈতিক দল এবং অনুদানকারীর সম্পর্ক স্পষ্ট হবে।

বস্তুত, যে সংস্থাগুলির নাম এই ঘটনায় উঠে এসেছে। যারা সবচেয়ে বেশি নির্বাচনী বন্ড কিনেছে এবং রাজনৈতিক দলগুলিকে দিয়েছে, তাদের মধ্যে প্রথম ৩০টির ১৪টি সংস্থায় কখনো না কখনো ইডি অথবা সিবিআই তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। অর্থাৎ, সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে। তাদের অর্থ রাজনৈতিক দলগুলি ব্যবহার করেছে। ফলে রাজনৈতিক দলগুলিও দুর্নীতির অর্থ ব্যবহার করেছে। এই আশঙ্কাই প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।

উল্লেখ্য, বন্ডের মাধ্যমে অনুদান নেয়নি বাম দলগুলি। 

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)