1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ইসলামি জোটের’ আস্থা আ.লী.?

২৯ জুলাই ২০১৭

বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আটটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নতুন একটি জোট করার বাপারে একমত হয়েছে৷ ৮ আগস্ট তারা এই জোটের নাম ও চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করবে বলে শুক্রবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/2hMEa
ফাইল ফটোছবি: Reuters

নতুন জোটের সমন্বয়কারী গণতান্ত্রিক ইসলামিক মুভমেন্টের চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলাম খান ডয়চে ভেলেকে শুক্রবারের বৈঠকের পর বলেন, ‘‘জোটের নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি৷ তবে আমরা জোট গঠনের ব্যাপারে বৈঠকে একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ ৮ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে জোটের নাম এবং চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হবে৷''

তিনি বলেন, ‘‘জোটের দু'টি নাম প্রস্তাব করা হয়েছে – বাংলাদেশ ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক এলায়েন্স অথবা ন্যাশনাল ডেমেক্র্যাটিক এলায়েন্স৷ এর যে কোনো একটি নাম চূড়ান্ত হবে৷ বাংলাদেশ ইসলামি ঐক্যজোট-এর চেয়ারম্যান, মিছবাহুর রহমান চৌধুরী এই জোটের চেয়ারম্যান হতে পারেন৷'' 

Nurul Islam.mp3 - MP3-Stereo

যে আটটি দল এই জোটে থাকতে সম্মতি দিয়েছে সেই দলগুলো হলো – বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামি ঐক্যজোট, গণতান্ত্রিক ইসলামিক মুভমেন্ট, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ ভাসানী), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) ও জমিয়তে হিজবুল্লাহ বাংলাদেশ৷ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় এই জোট কাজ করবে এবং আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানা গেছে৷

নূরুল ইসলাম খান এই বিষয়ে বলেন, ‘‘আমরা আমাদের জোট থেকে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেয়ার জন্য আগামী এক বছর কাজ করবো৷ তবে নির্বাচনের আগে বড় কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও নির্বাচনি জোট করতে পারি৷''

সেক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট করার সম্ভাবনা আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান সরকারে থাকা আওয়ামী লীগের সঙ্গেই আমরা নির্বাচনি জোট করতে চাই৷ কারণ আমি এবং মেসবাহুর রহমান চৌধুরী দু'জনই আওয়ামী ঘরানার৷ ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে আমাদের সঙ্গে শেখ হাসিনার একটা যোগাযোগ হয়েছিল৷ ইসলামপন্থিদের এক করে জোটবদ্ধ করার কথা হয়েছিল৷'' 

ZafarUllah Khan.mp3 - MP3-Stereo

কেউ কেউ তো বলে থাকেন আওয়ামী লীগ ‘ইসলাম বিরোধী'৷ একথার জবাবে তিনি বলেন, ‘‘ইসলামের পক্ষে কে বিএনপি? আমরাতো মনে করি বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগের আমলে ইসলামের জন্য এবং ইসলামের পক্ষে বেশি কাজ হয়েছে৷''

আর নতুন এই জোটের শরিক বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা জাফরুল্লাহ খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘উন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগ ভালো৷ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষেতো আছেই৷ আর ভবিষ্যতে ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু করবে বলে মনে হয় না৷ কারণ কিছুটা হোঁচট এরইমধ্যে খেয়েছে ইসলামের বিরুদ্ধে গিয়ে৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘এখনো আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনি জোট করব এমন কোনো চূড়ান্ত আলোচনা হয়নি৷ জোট হলে আমরা ১০০ আসন চাইব৷ কারণ আমরা মনে করি নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমাদের নতুন এই জোটের ভোট হবে শতকরা ২৫ ভাগ৷''

আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷