নির্বাচনের আগে করোনা মোকাবিলার নতুন উদ্যোগ
১০ আগস্ট ২০২১জার্মানিতে সাধারণ নির্বাচনের ঠিক আগে করোনা মহামারি মোকাবিলার বিষয়টি স্পর্শকাতর হলেও নতুন সরকার গঠন হওয়া পর্যন্ত ঢিলেমির কোনো অবকাশ দেখছে না বিদায়ী প্রশাসন৷ তাই ক্ষমতা হস্তান্তর হওয়া পর্যন্ত জরুরি পদক্ষেপগুলি চালু রাখার তোড়জোড় চলছে৷ জার্মানিতে ‘জাতীয় স্তরে গুরুত্বপূর্ণ মহামারি পরিস্থিতি'-র মেয়াদ আগামী ১১ই সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে৷ সংবাদ সংস্থা ডিপিএ-র সূত্র অনুযায়ী ১৬টির মধ্যে ১১টি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই অবস্থাক মেয়াদ আরো বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন৷ বিশেষ এই ক্ষমতার আওতায় সরকার মহামারি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পরীক্ষা, টিকা কর্মসূচি, কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা ইত্যাদি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে৷ সংসদের নিম্ন কক্ষ বুন্ডেসটাগে সেই প্রস্তাব অনুমোদন করাতে হবে৷
জার্মানিতে করোনা সংক্রমণের হার অপেক্ষাকৃত ধীরে হলেও বেশ কয়েক সপ্তাহ ঘরে লাগাতার বেড়ে চলায় সরকারের উপর আরও কড়া পদক্ষেপ নেবার জন্য চাপ বাড়ছে৷ মঙ্গলবার চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা সে বিষয়ে আলোচনায় বসছেন৷ একাধিক সংবাদ মাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী তার আগে বেশ কিছু প্রস্তাবের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে৷ প্রথমত গত মার্চ মাস থেকে সবার জন্য বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার যে সুযোগ চালু করা হয়েছে, অক্টোবর মাসে তা বন্ধ করা হতে পারে৷ জনসংখ্যার প্রায় ৫৫ শতাংশ করোনা টিকার সব প্রয়োজনীয় ডোজ পেয়ে যাওয়ায় এমন ভরতুকি নিয়ে বিতর্ক বাড়ছে৷ যাদের পক্ষে স্বাস্থ্যগত কারণে টিকা নেওয়া সম্ভব নয়, শুধু তাদের ক্ষেত্রে বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার সুযোগ চালু রাখতে পারে সরকার৷
সুযোগ সত্ত্বেও জার্মানিতে এখনো যারা করোনা টিকা নিতে প্রস্তুত নয়, তাদের অধিকার নিয়ে বিতর্কও বাড়ছে৷ একদল রাজনীতিক এমন মানুষের উপর চাপ বাড়াতে টিকাপ্রাপ্ত ও করোনাজয়ীদের জন্য বাড়তি সুযোগসুবিধার দাবি করছেন৷ অন্যরা করোনা পরীক্ষার মাধ্যমে তাদেরও সেই সুযোগ দেবার পক্ষে সওয়াল করছেন৷ তারা পরোক্ষভাবে টিকা বাধ্যতামূলক করার বিরোধী৷ বরং আরো প্রচার চালিয়ে সংশয়ী মানুষকে টিকা নিতে রাজি করানোর চেষ্টা চালাতে চান তারা৷
জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষ করোনা টিকা পেয়ে যাওয়ায় সংক্রমণের হার বাড়লেও গুরুতর অসুস্থ ও হাসপাতালের আইসিইউ-র উপর চাপ গত বছরের তুলনায় কম থাকবে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন৷ ফলে শুধু প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে সংক্রমণের গড় সাপ্তাহিক হার বা ইনসিডেন্সের ভিত্তিতে পদক্ষেপ না নিয়ে অন্যান্য কিছু সূচক বিবেচনা করার জন্য সরকারের উপর চাপ বাড়ছে৷ মঙ্গলবারের আলোচনায় এমন এক সমাধানসূত্র উঠে আসতে পারে৷
এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)