1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরাজিত মারাদোনাকেই আবার চায় আর্জেন্টিনার মানুষ

৫ জুলাই ২০১০

বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েও দেশে ফিরে কিন্তু বীরের সম্মান লাভ করল মারাদোনার দলবল৷ মারাদোনা আর মেসিকে নিয়ে উচ্ছ্বাস ছিল প্রবল৷ জাতীয় দলের কোচ হিসেবে আবারও সেই মারাদোনাকেই চাইছে আর্জেন্টিনার মানুষ৷

https://p.dw.com/p/OAdd
ছবি: AP

এই বিশ্বকাপে সাংঘাতিক কিছু করে দেখানোর বিপুল প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিলেন মারাদোনা৷ বলেছিলেন, কাপ জিতলে বুয়েনাস আইরেসের প্রাণকেন্দ্র যে ওবেলিস্ক, সেখানে নগ্ন হয়ে দৌড়বেন তিনি৷ গোটা বিশ্বে হৈচৈ পড়ে গিয়েছিল এই মন্তব্যের পর৷ কিন্তু শুধুমাত্র রক্ষণভাগে চরম দুর্বলতা প্রমাণ করে দিল, যতটা গর্জেছিল তেভেজ, মেসি মারাদোনার দলবল, বাস্তবে তার সিকিভাগও হয়নি৷ বিশ্বকাপ থেকে তাদের এমনভাবে ছিটকে দিল জার্মানির শক্তিশালী টিমগেম যে লজ্জায় মাথা তোলার কথা নয় আর মারাদোনার৷

কিন্তু, জনতার আবেগকে কে কবে চিনতে পেরেছে? জিতে ফিরলেন না, তবুও মানুষের হৃদয়ের আবেগকে ছুঁয়ে থাকলেন আবেগের রাজা সেই মারাদোনাই৷ কোচিং থেকে অব্যাহতি নেবেন বলে জানিয়ে দিতে চান দিয়েগো অথচ দেশের মানুষ সগর্জনে বলছে, না, তা হবে না৷ ২০১৪-র বিশ্বকাপে এই মারাদোনাই হবেন আমাদের কোচ৷ রবিবার বুয়েনাস আইরেসের বিমানবন্দরে মারাদোনা আর জাতীয় দলকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিল কয়েক হাজার ফ্যান৷ অনেকের হাতে পোস্টার, ‘দিয়েগো ২০১৪৷'

WM Südafrika 2010 Argentinien vs Südkorea Flash-Galerie
মেসি মারাদোনা জুটি আপাতত ব্যর্থছবি: AP

আসলে মেক্সিকোয় ১৯৮৬'র বিশ্বকাপ জয়ের কথা আজও ভোলেনি আর্জেন্টিনার মানুষ৷ সেবার প্রায় একার চেষ্টায় দেশকে জগতসভার সেরার আসনে বসিয়ে দিয়েছিলেন ফুটবলের রাজপুত্র দিয়েগো মারাদোনা৷ তারপর থেকেই মানুষের হৃদয়ে তাঁর আসন পাকা৷ সে শুধু আর্জেন্টিনাই নয়, গোটা বিশ্বেই৷ সে কারণেই শনিবার জার্মানির বিপুল জয়ের পর গোটা দেশ যখন আনন্দে মাতাল, তার মাঝেও দুঃখ আফশোষ শোনা গেছে দিয়েগোর করুণ মুখ টিভির পর্দায় দেখে৷ সে আফশোষ করেছেন আবার জার্মানরাই৷ আর মারাদোনা নিজেও স্বীকার করে নিয়েছেন, যে ফুটবল তিনি নিজে খেলতেন, সেই ব্যক্তিগত দক্ষতার দিনকাল শেষ৷ এখন ফুটবল মানে টিমগেম৷ যেমন খেলছে জার্মান দল৷ যেমন খেলছে হল্যান্ড৷

তবু, অনেক কথা থেকে যায়৷ ২০০৮ সালের অক্টোবরে জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন মারাদোনা৷ তারপর থেকে বেশ সমস্যার মুখোমুখি হয়েই আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করেছিল৷ কিন্তু প্রথমে গোল খেয়ে কোন ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি মারাদোনার ছেলেরা৷ শনিবার খেলা শুরুর মাত্র তিন মিনিটে সেই কাজটাই করে দিয়েছিলেন জার্মানির ম্যুলার৷ আর্জেন্টিনার কবর তখনই খোঁড়া হয়ে গিয়েছিল৷

দিয়েগো বলেছেন, নিজের পরিবারে আর দলের ছেলেদের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন কোচিং ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে৷ সেই সিদ্ধান্ত হয়তো দ্রুতই আসবে৷ তবে, সেটা যেমনই হোক, দিয়েগোর প্রতি দেশের মানুষের ভরসা আর ভালোবাসা যে কমেনি একটুও, তাতে কোন সন্দেহ রাখে নি কেউ৷ আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল সংস্থা এএফএ কী সিদ্ধান্ত জানায়, তার জন্য কয়েকটা দিন অপেক্ষা করা যাক৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা : আরাফাতুল ইসলাম