স্বীকৃতির লড়াইয়ে আফগান নারী
৫ আগস্ট ২০১৭২০০১ সালে অতি-রক্ষণশীল তালিবান উৎখাত হওয়ার পর আফগান নারীরা স্কুলে যাওয়ার, ভোট দেয়ার এবং কাজ করার অধিকার ফিরে পেয়েছেন৷ কিন্তু নারীর ওপর সহিংসতা তাই বলে থেমে থাকেনি, বরং কিছু ক্ষেত্রে বেড়েছে৷ বেশিরভাগ সময়ই এই সহিংসতার কোনো বিচারও হয় না৷
এই অবস্থা পরিবর্তনে #হোয়্যারইজমাইনেম নামে একটি ক্যাম্পেইন শুরু করেছেন কিছু আফগান নারী৷ সব সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা পুরুষদেরই, নারীদের থাকতে হবে প্রায় অদৃশ্য হয়ে – এমন ধারণার পরিবর্তন ঘটাতে কাজ করছে এই ক্যাম্পেইন৷
‘‘কাজের খাতিরে যখনই বাইরে গেছি, অনেক নারীর সাথে আমার কথা হয়েছে চিন্তাভাবনায় যারা অসাধারণ৷ কিন্তু যখনই তাঁদের সাক্ষাৎকার বা ছবি নেয়ার কথা বলেছি, তাঁরা বলতেন, ‘‘আমার স্বামীকে, বাবাকে, বা ভাইয়ের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে'', বলছিলেন কাবুলের নারী ফটোজার্নালিস্ট ফারজানা ওয়াহিদি৷
বাহার সোহাইলি এবং তার বন্ধুরা আছেন এই ক্যাম্পেইনে৷ এমন এক দিনের জন্য তাঁরা কাজ করছেন, যখন নারীকে তাঁর নাম বা পরিচয়ের জন্য লজ্জিত হতে হবে না৷
সোহাইলি বলেন, ‘‘নারীর অধিকার রক্ষায় আইন প্রয়োগে আমরা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাই৷ যখনই আমরা আদালত বা পার্লামেন্টে আমাদের দাবি তুলে ধরতে চাই, তারা ধর্মের কথা বলে আমাদের চুপ করিয়ে দিতে চায়৷''
আফগান আইন অনুসারে শিশুর জন্মসনদে মায়ের নাম থাকে না৷ কাবুল হাইকোর্টের মুখপাত্র আবদুল্লাহ আতাহি থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে জানান, ‘‘আফগান সমাজ এ বিষয়ে পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত নয়৷''
‘‘শিশুর জন্মসনদে বা অন্যান্য কাগজে মায়ের নাম উল্লেখে আমাদের কোনো সমস্যা নেই৷ কিন্তু এই আধুনিক পদক্ষেপের জন্য আফগানিস্তানের সংস্কৃতি ও জনগণ প্রস্তুত নয়৷'' তিনি মনে করেন এই পদক্ষেপ সৃষ্টি করতে পারে ‘অপ্রয়োজনীয় বিশৃংখলার'৷
আইনজীবী ও নারী অধিকার কর্মী শাহগুল রেজায়ই বলছেন, অধিকার আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া উচিত৷
তিনি বলেন, ‘‘পার্লামেন্টে কিছু মৌলবাদী শক্তি আছে, যারা চায় না নারীরা এই অধিকার পাক৷ কিন্তু আমরা নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে আইনের সংস্কার ও নতুন আইন প্রণয়নের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি৷''
এডিকে/ডিজি (রয়টার্স)
বন্ধু, প্রতিবেদনটি কেমন লাগলো? লিখুন নীচের ঘরে৷