1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পশ্চিমবঙ্গে এবার ৭০ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণের লজ্জা

পায়েল সামন্ত কলকাতা
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ধর্ষণে ফের কলঙ্কিত পশ্চিমবঙ্গ৷ এবার সত্তর বছরের প্রবীণা ধর্ষণের শিকার হলেন৷ কয়েকজন সাংবাদিকের তৎপরতায় তাঁর চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে৷ এত বড় ঘটনা সত্ত্বেও যেন নিস্পৃহ সংবাদমাধ্যম৷

https://p.dw.com/p/353tF
Indien West Bengal Barddhaman Vergewaltigungen nehmen zu
ছবি: Payel Samanta

ভারতের অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গেও বেড়ে চলেছে ধর্ষণের ঘটনা৷ প্রতিদিনই সংবাদমাধ্যমে এমন খবর জায়গা করে নেয়৷ এক বছরের শিশু থেকে সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধা, কামরিপুর বিকৃত প্রকাশ কাউকেই রেহাই দিচ্ছে না৷ এর সাম্প্রতিকতম ও ন্যক্কারজনক নমুনা দেখা গেল বর্ধমানে৷ সত্তর বছরের এক প্রবীণা হলেন ধর্ষণের শিকার৷ ধর্ষক রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে ফেলে রেখে গেল রাস্তার ধারে৷ ধর্ষণের আগে মহিলাকে ‘মা' সম্বোধন করে চা খেতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল সেই ব্যক্তি৷ তারপরেই এই কাণ্ড৷
হুগলির শ্যাওড়া গ্রামে বাড়ি নিগৃহীতার৷ পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ভবঘুরের মতো জীবনযাপন করেন তিনি৷ চেয়েচিন্তে খান৷ তাঁকে নিশানা করেছে দুষ্কৃতী৷ 

যা কী ঘটেছিল সেদিন

বৃদ্ধার বয়ানে উঠে এসেছে সেই মর্মন্তুদ ঘটনার কথা৷ ঘুরতে ঘুরতে গত শুক্রবার বর্ধমানে এসেছিলেন তিনি৷ একাই বসেছিলেন রাস্তার ধারে৷ বৃদ্ধা বলেন, ‘‘একটা ছেলে এসে আমাকে বলে, ‘মা চা খেতে যাবে?' আমি বুড়ি মানুষ, সকালে চা খেলে ভালো লাগবে বলে ওর সঙ্গে গেলাম৷ তারপর আমাকে একটা নির্জন জায়গায় নিয়ে গেল৷ আমার উপর অত্যাচার চালায়৷ মারধরও করে৷''

‘চিকিৎসক আমাকে ক্ষতস্থান দেখিয়েছেন,বুঝতে পারি, কতটা অত্যাচার চালানো হয়েছে’


এরপর বৃদ্ধা কোনোরকমে আসেন বড় রাস্তার ধারে৷ তখন তাঁর শাড়ি রক্তে ভিজে লাল৷ ব্যথায় কাতরাচ্ছেন৷ উৎসুক মানুষ আড়চোখে তাকালেও এগিয়ে আসেনি৷ তবে ক্রমশ অমানবিক হতে থাকা এই সভ্যতায় সহমর্মিতার সম্পূর্ণ মৃত্যু ঘটেনি৷ বৃদ্ধা বলেন, ‘‘চারটি ছেলে আমার কাছে আসে৷ জানতে চায়, কী হয়েছে৷ তারপর আমাকে একটি রিকশায় চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসে৷''

কিন্তু, ওই চার যুবক রক্তাক্ত বৃদ্ধাকে হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে ভর্তি করাননি৷ বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের খোলা চত্বরে বসিয়ে রেখে চলে যান তাঁরা৷ ঘটনাচক্রে সেদিন একাধিক সাংবাদিক হাজির ছিলেন হাসপাতাল চত্বরে৷ একটি বড় পথ-দুর্ঘটনায় আহত যাত্রীদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল৷ তিন সাংবাদিক নিজেদের পেশাদারিত্বের খোলস ছেড়ে এগিয়ে আসেন যন্ত্রণাকাতর, রক্তাক্ত বৃদ্ধার শুশ্রূষায়— সুজাতা মেহরা, সুমন ভগত ও সইফুল হোসেন মল্লিক৷কী দেখেছিলেন তাঁরা? 
ডয়চেভেলেকে সংবাদকর্মী সুজাতা মেহেরা বলেন, ‘‘একটা ঘটনা কভার করতে এসেছিলাম৷ হঠাৎ দেখি হাসপাতালের একটা জায়গায় ছোট জটলা৷ ওখানে কী হচ্ছে দেখতে আমরা এগিয়ে যাই৷ দেখি, এক বৃদ্ধা বসে রয়েছেন৷ রক্তে লাল তাঁর শাড়ি৷ তখন বুঝতে পারিনি, কী হয়েছে৷ ওঁকে জিজ্ঞেস করলে বলেন, একজন তাঁর সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে৷ একজন আয়াকে পরীক্ষা করে দেখতে বলি৷ তিনি পরীক্ষা করে বলেন, কী অত্যাচার হয়েছে বৃদ্ধার সঙ্গে৷'' আরেক সাংবাদিক ভগত বলেন, ‘‘সবাই ছবি তুলছিল বৃদ্ধার৷ কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি৷ যে চারটি ছেলে ওঁকে হাসপাতালে এনেছিল, তারাও ভর্তি করায়নি৷ অনেকেই এসব ক্ষেত্রে পুলিশি ঝামেলা এড়াতে চায়৷ তাই সামনে আসে না৷ আমরা না এলে বৃদ্ধা হাসপাতালে ভর্তি হতে পারতেন না৷''

‘ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করা হয়েছে’

মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক নাসির খান সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ান৷ তিনি বলেন, ‘‘একটা বড় দুর্ঘটনার পর অনেক আহত যাত্রীকে আনা হয়েছিল৷ তা নিয়ে ব্যস্ততা ছিল৷ তাই ব্যাপারটা অনেকক্ষণ নজর এড়িয়ে যায়৷ পরে বৃদ্ধাকে ভর্তি করানো হয়৷ সাংবাদিকরাই নিগৃহীতাকে ইমার্জেন্সিতে ভর্তি করান৷ পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে৷'' সাংবাদিক সুজাতা বলেন, ‘‘চিকিৎসক আমাকে ক্ষতস্থান দেখিয়েছেন৷ আমি দেখেই বুঝতে পারি, কতটা অত্যাচার চালানো হয়েছে৷''

বর্ধমান মেডিকেল কলেজের স্ত্রীরোগ বিভাগে ভর্তি রয়েছেন নিগৃহীতা৷ হাসপাতালের সুপার ডা. উৎপল তা ডয়চেভেলেকে বলেন, ‘‘এখন রোগিণীর অবস্থা স্থিতিশীল৷ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করা হয়েছে৷ নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে৷ ওঁর জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে৷ বোর্ডের চিকিৎসকরা তাঁকে নজরদারিতে রেখেছেন৷'' সুপার জানিয়েছেন, তাঁরা এখনো পুলিশকে নিগৃহীতার জবানবন্দি রেকর্ড করার অনুমতি দেননি৷কারণ জানতে চাইলে সুপার বলেন, ‘‘এখনো ট্রমার মধ্যে আছেন ওই বৃদ্ধা৷ মানসিকভাবে তিনি কথা বলার মতো অবস্থায় নেই৷ একটু সুস্থ হলে সে কথা ভাবা যাবে৷''
পুলিশের ভূমিকা এবং...

‘স্থানীয় মানুষ প্রতিবাদ না করলে পুলিশ বা প্রশাসন তা নিয়ে মাথা ঘামায় না’

 পূর্ব বর্ধমান পুলিশ ধর্ষণের তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে। জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বৃদ্ধার গ্রামের বাড়িতে তদন্তে গিয়েছে পুলিশ। তাঁর পরিবারের খোঁজ মিলেছে। দ্রুত অপরাধী ধরা পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণ বাড়তে থাকায় পুলিশ-প্রশাসন উদ্বিগ্ন৷ এটা যতটা আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা, তার থেকেও বড় সামাজিক সমস্যা৷ কামদুনি, কাকদ্বীপ, পার্কস্ট্রিট, রানাঘাটের নামের পর এবার নতুন সংযোজন বর্ধমান! কিন্তু ক্ষোভে ফেটে পড়ার মতো জনতা বর্ধমানে কোথায়? স্টেশন চত্বরে থিকথিক করা যাত্রীদের ভিড়ে অনেকে জানেন না যে, এই স্টেশন চত্বরেই  সত্তর বছরের বৃদ্ধাকে শুক্রবার ধর্ষণ করা হয়েছে৷

বর্ধমানে এমন ঘটনা এই প্রথম৷ বিষয়টি নিয়ে বর্ধমানের বাসিন্দারা খুবই অস্বস্তিতে৷ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উচ্চপদস্থ আধিকারিক মনোজিৎ আচার্য চৌধুরী বললেন, ‘‘এমন ব্যাপার এখানে ঘটবে, ভাবিনি৷ নিরাপত্তা কোথাও নেই যে বোঝাই যাচ্ছে৷''
স্থানীয় সাংবাদিক দেবদত্ত ডয়চে ভেলেকে বললেন, ‘‘স্টেশন চত্বর সমাজবিরোধীদের আখড়া হয়ে উঠেছে৷ রাত্রি নটার পর নেশার কারবার চলে রমরমিয়ে৷ মহিলা পাচার থেকে শুরু করে সব অসামাজিক কাজই হয় এখানে৷''

নিস্পৃহ সংবাদমাধ্যম!
এই ঘটনায় নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম৷ ধর্ষণের ঘটনা ফলাও করে দেখানো হয় রাজ্যের বিভিন্ন চ্যানেলে, গুরুত্বের সঙ্গে তা প্রকাশিত হয় সংবাদপত্রেও৷ কিন্তু শুক্রবারের এই ঘটনা নিয়ে শনি ও রবিবারেও আশ্চর্যজনকভাবে প্রায় নিশ্চুপ মিডিয়া৷ দু-একটি ওয়েব পোর্টালে বর্ধমানে বৃদ্ধার ধর্ষণের খবর জায়গা করে নিয়েছে৷ সেই খবর ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ তাই রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় ডয়চেভেলের প্রশ্ন শুনে মন্তব্য করতে চাননি৷ তিনি শুধু বলেন, ‘‘আমি কোথাও এই খবরটা দেখিনি৷''

‘জনতার চাপ না থাকলে বিচার হয় না’

অথচ এই সংবাদমাধ্যম কামদুনির ছাত্রীর ধর্ষণ ও হত্যা কিংবা রানাঘাটে প্রবীণ সন্ন্যাসিনী ধর্ষণের খবর যথাযথ গুরুত্ব দিয়েই প্রকাশ করেছিল৷ কিন্তু, সেই সংবাদমাধ্যম সত্তর বছরের এই বৃদ্ধার উপর যৌন অত্যাচার নিয়ে নিস্পৃহ কেন? আনন্দবাজার পত্রিকার প্রাক্তন ডেপুটি নিউজ এডিটর শম্ভু সেন বলেন, ‘‘মিডিয়া আক্রান্তের সোশ্যাল স্টেটাস দেখে খবর বাছাই করে বৈকি৷ এটা করা উচিত নয়৷ এই ভূমিকা নিন্দনীয়৷ মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে৷''
সমাজকর্মী বোলান গঙ্গোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে বললেন, ‘‘সাধারণভাবে মিডিয়া ধর্ষণের ঘটনার আক্রান্ত কোনো টিনএজার হলে সেটা নিয়ে বেশি মাতামাতি করে৷ আক্রান্ত যদি প্রবীণ হন, তাহলে অতটা হেলদোল দেখা যায় না৷ রানাঘাটের ঘটনায় ফুটেজ পাওয়া গিয়েছিল, সে ক্ষেত্রে অপরাধ অস্বীকার করার উপায় ছিল না৷''
সংবাদমাধ্যমের নিস্পৃহতা সম্পর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র বলেন, ‘‘মিডিয়া কীভাবে এসব ঘটনা দেখাচ্ছে, রাজ্য সরকার মিডিয়াকে নানাভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে৷ সে জন্যই এসব ঘটনা সামনে আসছে না৷ ঘটনার বীভৎসতা বেশি হলে তখন কিছুটা দেখানো হচ্ছে৷''

বিচার পাবেন বৃদ্ধা?
বিচার পাওয়ার লড়াই কত কঠিন, তা জানে কামদুনি, পার্কস্ট্রিট৷ ২০১৩ সালের ৭ জুনের কামদুনির গণধর্ষণের সেই ঘটনার পরে রাস্তায় নেমেছিল গোটা গ্রাম৷ স্থানীয় মহিলাদের প্রতিবাদের জবাবে মেজাজ হারিয়ে বিক্ষোভকারীদের বামপন্থি সমর্থক বলেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু কামদুনির জনতাকে কোনোভাবেই টলাতে পারেনি কেউ৷

এর আগে পার্কস্ট্রিটে গভীর রাতে নাইটক্লাব থেকে বেরোনো সুজেট জর্ডনকে ধর্ষণ, তা নিয়ে রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর অসহিষ্ণু মন্তব্য, তৎকালীন নগরপালের বক্তব্য নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি৷ কিন্তু সেই সুজেটের পাশে ছিল তাঁর পরিবার৷ এ নিয়েও কম আন্দোলন হয়নি৷ কিন্তু সহায়সম্বলহীন ভিখিরি কি বিচার পাবেন?
মানবাধিকার কর্মী শাশ্বতী ঘোষ বললেন, ‘‘জনগণের প্রতিবাদের ভূমিকা আছেই৷ স্থানীয় মানুষ যদি প্রতিবাদ না করে তাহলে পুলিশ বা প্রশাসন বিষয়টা নিয়ে মাথা ঘামায় না৷ কাকদ্বীপ বা বরানগরের ক্ষেত্রে আমরা সেটাই দেখেছি৷ বরানগরে এক কাগজ কুড়ুনিকে নিগ্রহ করা হয়েছিল৷ দু'দিন সেটার খবর নিয়ে হইচইয়ের পর সব থেমে যায়৷ আজ ভিখারিনির ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটেছে৷ কাল আমাদের ক্ষেত্রে ঘটতে পারে, প্রতিবাদ না করলে প্রতিকার হবে না৷''

পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে শাশ্বতী ঘোষ বললেন, ‘‘পুলিশ নিজের অঞ্চলে অপরাধ কম করে দেখাতে চায়৷ এ কারণে মামলা রুজু, তদন্তের ঝক্কি তারা পোহাতে চায় না৷ তাই দেখবেন, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তকে দোষী সব্যস্ত করার হার সারা দেশের মতোই কম৷''
রানাঘাটের সত্তরোর্ধ সন্ন্যাসিনী ধর্ষণের সঙ্গে বর্ধমানের ঘটনাকে কেন এক সারিতে রাখছে না সমাজ? শাশ্বতীর মতে, ‘‘রানাঘাটের সন্ন্যাসিনী একটি চার্চের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন৷ তাঁর পিছনে মিশনারি প্রতিষ্ঠান ছিল৷ শুধু দেশ নয়, বিশ্বের খৃষ্টান সমাজ এ নিয়ে সরব হয়েছিল৷ এমনকি ভ্যাটিক্যান থেকেও বার্তা এসেছিল৷ তাই এই প্রতিবাদের ফলে পুলিশ প্রশাসনের ওপর চাপ তৈরি হয়েছিল৷''
‘আমরা আক্রান্ত' সংগঠনের নেতা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রও শাশ্বতী ঘোষের মতোই বললেন, ‘‘জনতার চাপ না থাকলে বিচার হয় না৷ পার্কস্ট্রিটের গণধর্ষণে নিগৃহীতার অভিযোগ থানা নিতে চায়নি৷ পরে অভিযোগ নেওয়া হলেও অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা হয়েছে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য