পাকিস্তানি ফেসবুক বন্ধুকে বিয়ে ভারতীয় নারীর
২৬ জুলাই ২০২৩ভারতে আগেই বিয়ে হয়েছিল অঞ্জুর। তার দুই সন্তান আছে। কিন্তু ২০১৯ সালে ফেসবুকে পাকিস্তানের এক ছেলে নাসরুল্লাহের প্রেমে পড়ে যান তিনি। প্রেম ক্রমশ গাঢ় হয়।অঞ্জু ঠিক করেন, বর্তমান স্বামী এবং বাচ্চাদের ছেড়ে পাকিস্তানের বন্ধুকে বিয়ে করবেন তিনি। শেষপর্যন্ত ভিসার ব্যবস্থা করে পাকিস্তানে পৌঁছেছেন অঞ্জু। মঙ্গলবার ৩৪ বছরের অঞ্জুর সঙ্গে ২৯ বছরের নাসরুল্লাহের বিয়ে হয়েছে কড়া নিরাপত্তার বলয়ের মধ্যে। বিয়ের আগে নিজের ধর্ম পরিবর্তন করেছেন অঞ্জু। এখন তার নাম ফাতিমা।
বিয়ের জন্য পাকিস্তান অঞ্জুকে এক মাসের ভিসা দিয়েছে। তবে দেশের যে কোনো জায়গায় তিনি যেতে পারবেন না। বিয়ের পর পাকিস্তানে যাতে তিনি নাগরিকত্ব পান, তার ব্যবস্থা করা হবে বলে পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার পেশোয়ারের স্থানীয় আদালতে তাদের আইনি বিয়ে হয়। পরে তাদের সামাজিক নিকাহ-র আয়োজন করা হয়। গোটা ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন স্থানীয় পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মুহম্মদ ওয়াহাব। পিটিআইকে তিনি জানিয়েছেন, বিয়ে ভালোভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেই তারা বিয়ে করতে গেছিলেন। এর আগে সোমবার অঞ্জু এবং নাসরুল্লাহ কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বেড়াতেও গেছিলেন। বস্তুত, ভিসা পাওয়ার পর দিল্লি হয়ে ওয়াঘা সীমান্ত পার করে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছেন অঞ্জু। সীমান্ত পার করার ভিডিও সোশ্যাল নেটওয়ার্কে আপলোড করেছেন তিনি।
অঞ্জু জানিয়েছেন, পাকিস্তানে তিনি ভালো আছেন। ভারতে তার পরিবার এবং শিশুদের যেন কোনোভাবেই গণমাধ্যম সমস্যায় না ফেলে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি পাকিস্তানে গেছেন বলে জানিয়েছেন অঞ্জু।
রাজস্থানের আলোয়ারে অঞ্জুর বাড়ি। সেখানে তার স্বামী অরবিন্দ এবং বাচ্চারা থাকেন। অরবিন্দ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার জয়পুর যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন অঞ্জু। পরে তারা জানতে পারেন, তিনি পাকিস্তান চলে গেছেন। অরবিন্দ জানিয়েছএন, তিনি আশা করেন, অঞ্জু ফিরে আসবেন।
এদিকে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাকিস্তান হাই কমিশনের কাছ থেকে অঞ্জুর বিষয়ে যে কাগজ তারা পেয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এক মাসের ভিসা দেওয়া হয়েছে অঞ্জুকে। ২০ অগাস্টের মধ্যে তাকে দেশে ফিরে আসতে হবে।
অঞ্জু এবং তার নাসরুল্লাহ এই ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানাতে পারবেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
প্রায় একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল সীমা এবং শচিনের মধ্যে। পাকিস্তান থেকে সীমা ভারতে চলে এসেছিলেন শচিনকে বিয়ে করার জন্য। তারা এখন দিল্লির কাছে গ্রেটার নয়ডায় বসবাস করছেন।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই, জিও নিউজ, এনডিটিভি)