পানি ও মাটিতে লবণাক্ততা উপকূলীয় এলাকার জন্য হুমকি
২৭ এপ্রিল ২০১২বাংলাদেশের দক্ষিণের জেলা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার একটি গ্রামের নাম সোনাখালী৷ সেই গ্রামের কৃষক মিন্টু বিশ্বাস এবার তার এক বিঘা জমিতে মুগডালের চাষ করেছিলেন৷ কিন্তু লবণ পানির আক্রমণে তার পুরো ফসল নষ্ট হয়ে গেছে৷ স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, লবণ পানি আগের চেয়ে বাড়ছে৷ যা তাদের বিচলিত করে তুলেছে৷
এই চিত্র বাংলাদেশের দক্ষিণে পুরো উপকূলীয় এলাকার৷ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের গবেষণায় দেখা গেছে, বৃহত্তর বরিশালের পিরোজপুর, ঝালকাঠি, ভোলা, বরগুণা, পটুয়াখালি, খুলনার বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রামের নোয়াখালি এবং লক্ষ্মীপুর অঞ্চল এখন লবণ পানিতে বিপর্যস্ত৷ আর দেশের মোট চাষযোগ্য জমির ৪০ ভাগ এই উপকূলীয় অঞ্চলে৷ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম মণ্ডল ডয়চে ভেলেকে জানান, একদা শস্য ভাণ্ডার বলে পরিচিত এই অঞ্চলের মাটি এবং পানি দুই-ই লবণাক্ত হয়ে পড়ছে৷
মার্চ এপ্রিল মাসে লবণ পানির প্রভাব বেশি থাকে৷ এতে রবি শস্য ছাড়াও ধানের বীজ তলা ও বেড়ে ওঠা ধান নষ্ট হয়৷ তিনি জানান, নদীর নাব্যতা কমে যাওয়া এবং সাগরের লবণ পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়া এর কারণ সাগরের লবণাক্ত পানি নদী থেকে শাখা নদী হয়ে ঢুকে পড়ছে কৃষি জমিতে৷
তাঁর মতে, এই লবণাক্ততা বাড়তেই থাকবে৷ তাই প্রয়োজন লবণ সহিষ্ণু ফসল আবাদ করা এবং লবণ পানি এড়ানোর কৌশল আবিষ্কার৷ আর প্রয়োজন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন