1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

২৩ এপ্রিল ২০১৭

রবিবার থেকে দুই পর্বে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শুরু হচ্ছে৷ সে দেশের রাজনৈতিক কাঠামোর বিশেষত্ব কী? বাকি বিশ্বের কাছে এবারের নির্বাচনের গুরুত্বই বা কী?

https://p.dw.com/p/2bg4c
নির্বাচনে ৪ প্রধান প্রার্থী

রবিবার ২৩শে এপ্রিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্ব৷ দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ই মে৷ প্রথম পর্বে ১১ জন প্রার্থীই প্রতিযোগিতায় নামার সুযোগ পাচ্ছেন৷ তাঁদের মধ্যে যে দুই প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন, তাঁদের মধ্যে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দ্বিতীয় পর্বে৷ কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি বৈধ ভোট পেলে অবশ্য দ্বিতীয় পর্বের প্রয়োজন হবে না৷ ফ্রান্সের বর্তমান রাষ্ট্রীয় কাঠামোর ইতিহাসে অবশ্য আজ পর্যন্ত মাত্র এক বার এমনটা ঘটেছে৷

জনমত সমীক্ষায় আপাতত সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছেন দুই প্রার্থী৷ অথচ তাঁরা কেউই মূল স্রোতের দুই প্রধান রাজনৈতিক শিবির – রক্ষণশীল বা সমাজতন্ত্রী দলের নন৷ সবচেয়ে তরুণ প্রার্থী – মাত্র ৩৯ বছর বয়স্ক এমানুয়েল মাক্রোঁ মধ্যপন্থি প্রার্থী হিসেবে আসরে নেমেছেন৷ ‘এগিয়ে চলো' নামের এক আন্দোলনের নেতা তিনি৷ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন চরম দক্ষিণপন্থি ন্যাশানাল ফ্রন্ট দলের নেত্রী মারিন ল্য পেন৷ তাঁদের ঠিক পরেই রয়েছেন রক্ষণশীল দলের প্রার্থী ফ্রঁসোয়া ফিয়ঁ৷ তারপর ব়্যাডিকাল বাম প্রার্থী জঁ লুক মেলাঁশোঁ৷ সমাজতন্ত্রী দলের প্রার্থী বেনোয়া আমোঁ সমর্থনের বিচারে খুবই পিছিয়ে রয়েছেন৷ শেষ পর্যন্ত যেই জয়ী হোন না কেন, তিনি আগামী ১৪ই মে-র মধ্যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ-এর কাছ থেকে কার্যভার গ্রহণ করবেন৷

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরেও গরম থাকবে ফ্রান্সের রাজনৈতিক জগত৷ কারণ তার ঠিক পর – অর্থাৎ ১১ ও ১৮ই জুন সংসদ নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে৷ এমানুয়েল মাক্রোঁ যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তাঁর পক্ষে সংসদ নির্বাচনে লড়াই করা কঠিন হবে, কারণ মাত্র এক বছর আগে তাঁর আন্দোলন শুরু হয়েছিল৷ তার কাঠামো এখনো পাকাপোক্ত হয়নি৷ সংসদ নির্বাচনে প্রতিষ্ঠিত দলগুলির সম্ভাবনাই বেশি৷ সেক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সংঘাত অনিবার্য৷

ফ্রান্সের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আন্তর্জাতিক মঞ্চেও বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ প্রথমত, সে দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে এমন মাত্রার অনিশ্চয়তা এর আগে কখনো দেখা যায়নি৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভবিষ্যতও অনেকটাই এবারের নির্বাচনের উপর নির্ভর করছে৷ মারিন ল্য পেন-এর মতো ইইউ ও ইউরো-বিরোধী নেত্রী ক্ষমতায় এলে এই রাষ্ট্রজোটের মৌলিক কাঠামো বড় ধাক্কা খেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ তাছাড়া নেদারল্যান্ডস-এ জনমোহিনী পপুলিস্ট রাজনৈতিক শক্তির পরাজয়ের পর ল্য পেন-এরও একই দশা হলে ইউরোপ হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে৷

অন্যদিকে মাক্রোঁ ইউরোপীয় ইউনিয়নের জোরালো প্রবক্তা৷ তিনি জার্মানির সমর্থন নিয়ে ইউরোপে সামাজিক সুরক্ষার কাঠামো আরও জোরদার করতে চান৷ তাঁর সম্ভাব্য জয়কে স্বাগত জানাচ্ছে অনেক মহল৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)

ফ্রান্সের নির্বাচনে কারা হবেন চূড়ান্ত প্রার্থী? জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য