বইমেলায় হুমায়ূন আহমেদ!
৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪এই প্রকাশনা সংস্থার স্টলটি এবার সাজানো হয়েছে একটু ভিন্নভাবে৷ দেখলে মনে হবে যেন আগত দর্শনার্থীদের উঁকি মেরে দেখছেন লেখক হুমায়ূন! অন্যরকম এই স্টলের সামনে প্রতিদিন তাই দর্শকদের ভীড় লেগেই রয়েছে৷ বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বিষয়টা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ এরপর সেটা তাদের ফেসবুক পেজে শেয়ার করলে অনেক পাঠক হুমায়ূনের প্রতি তাঁদের ভালো লাগার বিষয়টি প্রকাশ করেন৷ সুমন হাসান লিখেছেন, ‘‘নয়ন তোমায় পাইনা দেখিতে তবু আছ তুমি নয়নে নয়নে...৷'' তুষার আলমামুন লিখেছেন, ‘‘স্যারকে খুব মিস করি৷''
এদিকে, সামহয়্যার ইন ব্লগে রিপন ইমরান লিখেছেন, অনেক লেখক আছেন যাঁরা মনে করেন অন্য লেখকদের কারো লেখাই পাঠযোগ্য নয়, এবং এই জিনিসটি সর্বদাই যথেষ্ট দায়িত্বের সঙ্গে প্রমাণের চেষ্টায় থাকেন তাঁরা৷ এক্ষেত্রে তাঁদের এ ধরনের আক্রমণের সবচেয়ে বেশি শিকার হয়েছেন জনপ্রিয়তম কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ৷ এরপর ইমরান বলতে চেয়েছেন, ‘‘হুমায়ূনের মৃত্যুতে তাঁরা (অন্যের সমালোচনাকারী লেখকরা) বেশ বড়ো ধরনের হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন৷ আগে যেমন বইমেলা এলেই শুকনো পাংশুটে মুখে তাঁরা অন্যপ্রকাশ থেকে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে চ্যালাদের নিয়ে হুমায়ূন বিষাদাগার করতেন, তা কিছুটা হলেও কমেছে তাঁর মৃত্যুর পর...তাঁদের সেই পাংশুটে মুখে দেঁতো হাসি লেগেছে...তবে আফসোস প্রতিদিন বিকেলে বেশ ঘন করে ক্রিম-স্নো লাগিয়ে বইমেলার মাঠে তাঁরা দাঁড়িয়ে থাকলেও হুমায়ূনের মৃত্যুর পরও তাঁদের সামনে অটোগ্রাফ নেয়ার লাইন এবারো জমেনি...৷''
একই ব্লগে সুহৃদ আকবর বইমেলা নিয়ে তাঁর উচ্ছ্বাসের কথা জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘পহেলা ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন হয়ে গেলো অমর একুশে গ্রন্থমেলা৷ প্রতিবছর বইমেলা আসলে আমার ভেতর এক ধরনের আবেগ আর অনুভূতি খেলে যায়৷'' তবে এবার চাকরির কারণে এখনো বইমেলায় যেতে না পারার হতাশা থেকে তিনি লিখেছেন, ‘‘...মাঝে মাঝে আমার ইচ্ছে করে পাখির মতো ডানা লাগিয়ে বইমেলার প্রাঙ্গণ থেকে ঘুরে আসি৷ বইমেলায় গিয়ে আমার হৃদয়ের তৃষ্ণা নিবারণ করি৷ আমার সে ইচ্ছা কি পূরণ হবে৷ আমি অপেক্ষায় থাকলাম আমার প্রিয় মানুষের সাথে বইমেলায় যাওয়ার সেই মধুর মুহূর্তটির জন্য৷ আমার এখন মন পড়ে আছে বইমেলার ভীড়ে৷ আমার হৃদয় কাঁদে বইমেলার জন্য৷ বইমেলা আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালবাসি৷''
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন