1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অতিথির জন্য অপেক্ষা

ইয়ানস ফাল্কোস্কি/এআই৫ আগস্ট ২০১৩

জার্মানির পূর্বাঞ্চলের অনেক হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং ক্যাফে গত জুনের বন্যায় তলিয়ে গিয়েছিল৷ তবে দ্রুতই অনেকগুলো সংস্কার করে আবারো চালু করা হয়েছে৷ এখন অপেক্ষা পর্যটকদের ফিরে আসার৷ টিকে থাকতে ব্যবসা বড় জরুরি এখন৷

https://p.dw.com/p/19JIi
ছবি: DW/J.Falkowski

জার্মানির পূর্বাঞ্চলের রাজ্য সাক্সেনির একটি গ্রাম শিমিলকা৷ চেক প্রজাতন্ত্রের সীমান্ত সংলগ্ন এই গ্রামটি এলবে নদী এবং পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত৷ মাটিয়াস ডয়সিগ সেখানে একটি ঐতিহাসিক বেকারি পরিচালনা করেন৷ বেকারির পাশের রয়েছে একটি ওয়াটার মিল, হাইকিং-এর পাথ৷

ডয়সিগ প্রত্যাশামত ক্রেতা পাচ্ছেন না এখন৷ বন্যার পর ক্রেতা কমে গেছে, তাছাড়া আগের মতো ঘন ঘন ক্রেতা আসছেনও না৷ অথচ তাঁর বানানো রুটির বিশেষত্বই আলাদা৷ মধ্যরাতে চুলা জ্বালান তিনি৷ এরপর অপেক্ষা করেন ভোর রাত চারটা পর্যন্ত৷ কাঠের তৈরি এই চুলা তৈরি হয়েছিল ১৮ শতকে৷ কোনো ধরনের বৈদ্যুতিক সাহায্য ছাড়াই চলে এটি৷ তাই সময় লাগে৷ কিন্তু তাতে ডয়সিগের কোনো সমস্যা হয় না৷

Tourismus nach dem Hochwasser in Schmilka Sachsen
মাটিয়াস ডয়সিগ তার বেকারিতেছবি: DW/J.Falkowski

বরং বন্যার সময় এই চুলাই কাজে এসেছিল বেশি৷ তাঁর গ্রাম কার্যত অল্প কিছু দিনের জন্য সারা দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল৷ বিদ্যুৎ ছিল না৷ কাছের বাড শ্যানডাও শহরেও যাওয়া যাচ্ছিল না পানির কারণে৷ সেই সময়েও গ্রামে খাবারের অভাব হয়নি ডয়সিগের কারণেই৷ তাঁর প্রাচীনকালের চুলা বন্যার সময়ও ঠিকই তৈরি করেছে রুটি৷

যত দ্রুত সম্ভব চালু করা

এলবে নদীর পারেই শিমিলকা গ্রামের অপর প্রান্তে অবস্থিত হেলভেশিয়া হোটেল৷ জৈব হোটেল এটি৷ ডয়সিগের তৈরি রুটি এবং কেক এই হোটেলেও বিক্রি হয়৷ জুন মাসে বন্যার সময় হোটেলটির প্রথম দু'টি তলা ডুবে গিয়েছিল৷ নিচের তলাটি দশদিন পানির নীচে ছিল৷

বন্যার কারণে সৃষ্ট বিশৃঙ্খল অবস্থার মাঝেই হোটেলের মালিক স্ভেন-এরিক হিট্জার ঘোষণা করেন, পহেলা জুলাইয়ের মধ্যে আবারো হোটেল চালু করবেন তিনি৷ ৮০ জনের সহায়তায় সেটা করেছেনও হিট্জার৷ এজন্য হোটেলের বিভিন্ন দেয়াল শুকাতে তিনি কাজে লাগিয়েছেন বিশেষ টেকনিক৷

কিন্তু তারপরও ঠিক আগের মতো পর্যটক টানতে পারছে না হোটেলটি৷ হিট্জার বলেন, ‘‘আমাদের এখনো রুম খালি আছে৷'' এমনকি পরিবেশবান্ধব পর্যটকরা হোটেলটি বিশেষ পছন্দ করলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন বলেই মনে করছেন হিট্জার৷ এই পরিস্থিতির মধ্যেও স্থানীয় অন্যান্য হোটেলের তুলনায় আগস্টে তাঁর অবস্থা ভালো৷

সংস্কার কাজ চলছে

প্রতিবেশী বাড শ্যানডাও-এর মার্কেট প্লেসের অবস্থা এখনো সঙ্গিন৷ পুরো এলাকা জুড়ে চলছে সংস্কারের কাজ৷ এই পরিস্থিতির মাঝেই কিছু কিছু ক্যাফে চালু করা হয়েছে৷ নদীর তীর সংলগ্ন হোটেলগুলোও চালু হয়েছে সেখানে৷ তবে সেসবে বন্যার দাগ এখনো লেগে আছে৷ অনেক সংস্কার কাজ এখনো বাকি৷

এসব দিক বিবেচনা করলে হ্যালভেশিয়া হোটেলের অবস্থা অনেক ভালো৷ বন্যার কোন দাগ হোটেলটিতে নেই বললেই চলে৷ বরং হোটেলের বাগান আবারো সবুজে ছেয়ে গেছে৷ হিট্জারও সন্তুষ্ট, কেননা ঠিক পর্যটক মৌসুমে বন্যা আঘাত হানেনি৷ ফলে সংস্কার কাজের জন্য হোটেল বন্ধ রেখে ক্ষতির শিকার হতে হয়নি তাঁর৷ আর সংস্কারের যেটুকু কাজ বাকি আছে, তা আগামী শীতের জন্য রেখে দিয়েছেন তিনি৷ তখন পর্যটক তেমন একটা দেখা যায় না শিমিলকায়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য