‘বাংলাদেশ বিমানে আর যেতে ইচ্ছে করে না'
২৮ ডিসেম্বর ২০১৭বিমানে ভ্রমণকালীন নানা ধরনের নিরাপত্তার কথা ভাবতে হয় যাত্রীদের৷ তবে নতুন ভ্রমণকারীরা এর অনেক কিছু সম্পর্কেই আগে থেকে ওয়াকিবহাল থাকেন না৷ এ সব যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি ‘প্রমোশনাল ভিডিও' তৈরি করেছে৷ চার মিনিটেরও বেশি সময়ের এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে ‘ভাইসব মিডিয়া' নামের একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার ইউটিউব চ্যানেলে৷
এ বছরের জুলাই মাসের শুরুতে ‘আপলোড' হওয়া এ ভিডিওটি এখনও পর্যন্ত দেখা হয়েছে ১৬ লাখেরও বেশিবার৷ ভিডিওটি পছন্দ করেছেন আট হাজারের বেশি মানুষ৷ অন্যদিকে অপছন্দ করেছেন এক হাজারেরও বেশি৷ আর এতে মন্তব্য করেছেন আড়াইশ' জনেরও বেশি লোকজন৷
বিমান বাংলাদেশের এ ভিডিওটির নীচে যেসব মন্তব্য রয়েছে, তাতে এর সেবার মানের দুর্দশার একটি চিত্র খুঁজে পাওয়া যায়৷ আনোয়ার বিন মাহফুজ নামে একজন মন্তব্য করেছেন – ‘‘বিদেশ থেকে বাড়িতে যাওয়ার জন্য যখন বাংলাদেশ বিমানে গিয়ে বসি, আপনাদের কিছু বাজে কেবিন ক্রুদের ব্যাবহারে আর বাংলাদেশ বিমানে যেতে ইচ্ছে করে না৷ আপনারা চেহারা আর দেশ দেখে মানুষকে ব্যাবহার, মানে কথা বলেন৷ যেমন ইউরোপের যাত্রী হলে ওদের গায়ে পড়ে যান আর মিডেল ইস্টের হলে ওদের সাথে ভালোভাবে কথা বলতে চান না৷''
এম ডি নুরুল হুদা নামের একজন মন্তব্য করেছেন, ‘‘এখানে তো দেখি ভালো কথাই বলিতেছেন৷ বিমানে তো এত ভালো দেখি না৷''
রনি তন্ময়ের মন্তব্য, ‘বাংলাদেশ বিমানে একবার ভুল করে উঠেছি, আর নয়৷''
আব্দুল্লাহ আল-মাহফুজ লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশ বিমানের সার্ভিস থেকে বরিশালের লঞ্চের ‘কাস্টমার সার্ভিস' ভালো৷ বিমানের ‘সিডিউল' বিপর্যয়, বিমানবালাদের ব্যবহার খুব খারাপ, খাবারও নিম্নমানের৷''
বেলাল হোসেন লিখেছেন, ‘‘প্রবাস থেকে যদি হেঁটে যেতে হয় তার পরেও হেঁটে যাব বাড়িতে....কিন্তু এই বাংলাদেশ বিমানে কখনো যাব না৷''
তবে অনেকেই ভিডিওটি তৈরি করার জন্য বাংলাদেশ বিমানকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন৷
এমএম/ডিজি
বন্ধু, আপনারও যদি বিমানে চড়ার কোনো খারাপ বা ভালো অভিজ্ঞতা থাকে, তবে লিখুন নীচের ঘরে৷