বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ কমে গেছে
১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯বিনিয়োগ বোর্ডের দেয়া তথ্যানুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত স্থানীয় ভাবে ১২ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধিত হয়েছে৷ যেখানে গত বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা৷ একই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব আট মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ শতাংশ কমে গেছে৷ বিশ্ব মন্দার কারণে বিনিয়োগে প্রবাহ কমে গেছে বলে বিনিয়োগ বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে৷
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আংকট্যাড এর ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট রিপোর্ট-২০০৯-এ এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে৷ বিনিয়োগ বোর্ড বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ রিপোর্টটি প্রকাশ করে৷ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. এস এ সামাদ. সদস্য আবু রেজা, বেপজার সদস্য মাহবুবুল হকসহ বিনিয়োগ বোর্ডের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ৷ সংবাদ সম্মেলনে রিপোর্টটি উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইসমাইল হোসেন৷
রিপোর্ট প্রকাশের পর বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী সদস্য ড. এস এ সামাদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নীতি হচ্ছে উম্মুক্ত৷ গণতান্ত্রিক সরকার অবশ্যই চান দেশে বেশি করে বিদেশি বিনিয়োগ আসুক৷ তিনি বলেন, মন্দার প্রভাব আমরা কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছি৷ এর ফলে দেশের মধ্যে বিনিয়োগ বাড়তে শুরু করেছে৷ কাজেই আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই৷
রিপোর্ট উপস্থাপন করে অধ্যাপক ড. ইসমাইল হোসেন বলেন, রিপোর্টে বলা হয়, বিশ্ব মন্দার প্রভাবে গত বছর বিশ্বব্যাপী এফডিআই প্রবাহ আগের বছরের চেয়ে ১৪ শতাংশ কমে গেছে৷ গত বছর বিশ্বব্যাপী এফডিআই প্রবাহ হয়েছে ১ হাজার ৬৯৭ কোটি ডলার৷ এর আগের বছর ২০০৭ সালে ছিল ১ হাজার ৯৭৯ কোটি ডলার৷
প্রতিবেদক: সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক