ইউরোপে প্রতিযোগিতা
২২ মে ২০১২ইউরো পপ থেকে শুরু করে ইউরো ‘ট্র্যাশ' বা ইউরো জঞ্জাল, ইউরো ‘কিচ' বা সস্তাদরের গান, যার কোনো মাথামুণ্ডু নেই - ইউরোভিশন সং কনটেস্ট'কে নাক-উঁচুদের কতো অপবাদই না শুনতে হয়েছে৷ তা'তে অবশ্য তার জনপ্রিয়তার কিছুমাত্র ব্যাঘাত ঘটেনি৷ কেননা এ' হল দেশ বনাম দেশ, রীতিমতো দেশপ্রেমের ব্যাপার৷ সেই সঙ্গে রয়েছে ইউরোপ জুড়ে ভোটাভুটির আকর্ষণ৷ সেখানেও এক ধরণের আবেগের রাজনীতি কাজ করে, নানা ভৌগোলিক প্রতিবেশিত্ব এবং ঐতিহাসিক মৈত্রী কিংবা বৈরিতা৷
জার্মান স্থপতি-ইঞ্জিনিয়ারদের তৈরি বাকু'র ক্রিস্টাল প্যালেসে ২২শে মে এবং ২৪শে মে সেমিফাইনাল, ২৬শে মে ফাইনাল৷ জার্মান প্রার্থী-প্রতিনিধি-প্রতিযোগী ২২ বছর বয়সের রোমান লোব পেশায় মেকানিক, গান-বাজনাটা চিরকালের হবি৷ একটি কাস্টিং শো'র কল্যাণে বাকু'তে যাচ্ছেন৷ তাঁর ‘‘স্ট্যান্ডিং স্টিল'' গানটিতে কিন্তু ব্রিটিশ গায়ক ও সংগীত রচয়িতা জেমি কালাম'এরও হাত ছিল৷ ইউরোভিশনের সাধারণ ধুমধাড়াক্কা থেকে কিছুটা অন্য স্বাদের গান৷ দেখা যাক এই গান দিয়ে রোমান দশম স্থানের আর কিছুটা ওপরে উঠতে পারেন কিনা৷
প্রবীণ বনাম নবীন
এবার ইউরোভিশন সং কন্টেস্ট'এ প্রবীণতম প্রতিযোগী হলেন এঙ্গেলবার্ট হাম্পারডিঙ্ক - হ্যাঁ, সেই ‘প্লিজ রিলিজ মি' খ্যাত ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ পপ গায়ক, যার বয়স এখন ৭৬৷ অন্যদিকে রাশিয়ার হয়ে এবার মঞ্চে নামছেন বুরানোভস্কিয়ে বাবুশকি, বুরানোভা গাঁয়ের দাদিরা, যাদের বয়স ৪৩ থেকে ৭৬৷ দাদিরা গাইছেন - এবং নাচছেন - আবার প্রথাগত রুশকি কস্টিউম পরে৷ যদিও তাদের ‘এথনো-পপ' গানটির শীর্ষক হল ‘‘পার্টি ফর এভ্রিবডি''৷
কে বা কারা এবারকার ইউরোভিশন সং কনটেস্ট জিততে পারেন, সে প্রসঙ্গে এলে বলতে হয়, ঘোড়দৌড় কি ফুটবলের মতো এখানেও বাজি ধরা আছে এবং অনেক বুকমেকার বলছেন, সুইডেনের গায়িকা লোরিন ও তাঁর টেকনো-পপ গান ‘‘ইউফোরিয়া''-র নাকি ভালো চান্স আছে৷ আবার অনেকের মতে বুরানোভার দাদিরাই সকলকে মাত করবেন এবং প্রতিযোগীদের কাত করবেন৷
আন্তর্জাতিক দর্শকরা টেলিফোন করে কিংবা এসএমএস পাঠিয়ে ভোট দিতে পারবেন৷ এবং পরে তা জোড়া হবে প্রতি দেশের এক বিশেষজ্ঞ জুরির বাছাই'এর সঙ্গে৷ সারা বিশ্বে আনুমানিক সাড়ে বারো কোটি মানুষ টেলিভিশনে দেখবেন, ইউরো পপ'এর স্বর্ণমুকুট - কেউ কেউ বলেন শুধু রাংতার - এবার কার কপালে ঝুলছে৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী (এএফপি, ডিপিএ)
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন