1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাগদাদে শিল্পীদের রংয়ের ছোঁয়া

২৪ অক্টোবর ২০২৪

দীর্ঘ যুদ্ধ ও রাজনৈতিক অস্থিরতার পরেও ইরাকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা এখনো দূর অস্ত৷ হাত গুটিয়ে বসে না থেকে রাজধানী বাগদাদের এক শিল্পী পাড়ায় পাড়ায় রংয়ের ছোঁয়া আনছেন৷ সেই উদ্যোগ মানুষকে বিশাল প্রেরণা জোগাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/4mCKY
Irak l Streetart l Werke von Künstlerin Wijdan al-Majed in Bagdad
ছবি: Ahmad Al-Rubaye/AFP

বাগদাদের আল ফাদল এলাকায় যে কোনো পরিবর্তন চলছে, শুধু রং-ভরা বড় বালতি দেখেই তা টের পাওয়া যাচ্ছে৷ আলি খলিফা ও তাঁর ‘বাটারফ্লাই এফেক্ট' নামের শিল্পীসংঘের দৌলতে মলিন এই দেওয়ালগুলি রংচংয়ে হয়ে উঠছে৷ রঙিন মিউরালসের মাধ্যমে বাগদাদের অবহেলিত পাড়াগুলিতে প্রাণ সঞ্চার করাই তাঁদের মিশন৷ আলি বলেন, ‘‘আমাদের কাজের প্রশংসাই আমাকে প্রেরণা জোগায়৷ সৌভাগ্যবশত এখনো পর্যন্ত আমরা কোনো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাই নি৷ এখানকার বয়স্ক ও তরুণদের জন্য এটা নতুন এক অভিজ্ঞতা৷ কিন্তু তারা আমাদের কাজ পছন্দ করছে বলেই মনে হচ্ছে৷’’

প্রশ্ন হলো, একটু রংয়ের ছোঁয়া কি পৃথিবীকে আরো ভালো জায়গা করে তুলতে পারে? আলির মতে, মানুষের উপর শিল্পকলার প্রভাব অবশ্যই রয়েছে৷ তিনি ও তাঁর সতীর্থরা নিশ্চিত যে মানুষ যখন তাঁদের দেওয়ালে রং করতে বলেন, তখন সেটা আর শুধু উপরিভাগের সৌন্দর্যের বিষয় থাকেনা৷ আলি খলিফা বলেন, ‘‘এই দেওয়ালের প্রতিটি গর্ত, প্রতিটি চিড়ের পেছনে মর্মান্তিক কোনো স্মৃতি রয়েছে৷ কিন্তু বুলেটের গর্তগুলিকে ফুলে পরিণত করে এক বার্তা পাঠানো হচ্ছে৷ খারাপ সময় পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগোনো সম্ভব৷’’

এরই মধ্যে এমন আরো ম্যুরাল গোটা বাগদাদ শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে৷ আলির রঙিন জগত সবার নাগালে চলে আসছে৷ মলিন শহরটি যে অনেক প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহই নেই৷ শিল্পকলা মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে৷ যারা সেই শিল্প সৃষ্টি করছেন, শুধু তারাই নয় – শিল্পসৃষ্টির আশেপাশের মানুষও প্রেরণা পেতে পারেন৷

এই শিল্পসংঘ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷ বিশেষ করে ইরাকের রক্ষণশীল সমাজে প্রায় অদৃশ্য নারীরাও এভাবে নিজেদের আইডিয়া তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন৷

কাছের এক পার্কে আলি খলিফা আঁকা শেখাচ্ছেন৷ তিনি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে চান৷ তাঁর বিশ্বাস, একটি পেন্সিল বা তুলির আঁচড় ঠিক প্রজাপতির পাখনার সঞ্চালনের মতো জগতে পরিবর্তন আনতে সাহায্য করতে পারে৷ আলি খলিফা নিজের গোষ্ঠীর নামকরণের ব্যাখা দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘বাটারফ্লাই এফেক্ট এক বৈজ্ঞানিক পরিভাষা, এক তত্ত্ব৷ প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি কাজ – তা সে যতই ছোট ও সরল হোক না কেন, সময়ের সমাপ্তি পর্যন্ত প্রভাব রাখে৷ ভালো কাজ করলে কিছু একটা বেড়ে উঠতে পারে৷ প্রভাব স্থায়ী হয়৷ সে কারণে আমরা এই নাম বেছে নিয়েছি৷''

আল ফাদাল এলাকায় আলি ও তাঁর টিম কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁদের মিউরালের কাজ শেষ করেছেন৷ বাগদাদ শহরে আরো একটি পেইন্টিং যোগ হলো৷ কিন্তু শহরটিকে আরো রঙিন করে তোলার মিশন চলতেই থাকবে৷ এখনো যে অনেক কাজ বাকি রয়েছে৷

সিমোন রিশে/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান