দলের খারাপ ফলে চাপে ম্যার্কেল
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬কাগজে-কলমে চরম দক্ষিণপন্থি না হলেও কথাবার্তা ও কাজেকর্মে এএফডি বিদেশি ও ইসলাম বিদ্বেষের নানা দৃষ্টান্ত দেখিয়ে আসছে৷ রবিবারের নির্বাচনে তারা ১৪.২ শতাংশ ভোট পেয়েছে৷ ফলে সংসদের ১৬০ আসনের মধ্যে এএফডির সাংসদ থাকবেন ২৫ জন৷ আর ম্যার্কেলের দল সিডিইউ (খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী) ১৭.৬ শতাংশ ভোট পেয়ে হয়েছে দ্বিতীয়৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বার্লিন রাজ্যে এটিই সিডিইউ দলের সবচেয়ে খারাপ ফল৷ এদিকে, প্রথম অবস্থানে আছে সিডিইউ (সামাজিক গণতন্ত্রী)৷ তারা ভোট পেয়েছে ২১.৬ শতাংশ৷ তবে আগের নির্বাচনের চেয়ে তাদের ভোট কমেছে ৬.৭ শতাংশ৷
এই নিয়ে টানা পাঁচটি রাজ্যের নির্বাচনে হারলো সিডিইউ৷ মাত্র দুই সপ্তাহ আগে অনুষ্ঠিত মেকলেনবুর্গ ফোয়রপমার্ন রাজ্যের নির্বাচনে এএফডির চেয়েও কম ভোট পেয়েছিল ম্যার্কেলের দল৷
অনেক বিশ্লেষকের মতে, ম্যার্কেলের উদার শরণার্থী নীতির কারণেই সিডিইউর ভোট কমছে৷ ফলে আগামী বছর যে কেন্দ্রীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা সেখানেও সিডিইউ ভাল নাও করতে পারে৷ কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সিডিইউ-র সহযোগী দল সিএসইউ-র রাজনীতিবিদ মার্কুস স্যোডার রবিবারের নির্বাচনকে ম্যার্কেলের জন্য ‘ম্যাসিভ ওয়েকআপ কল' বলে আখ্যায়িত করেছেন৷ তবে ডয়চে ভেলের উডো বাওয়ার মনে করছেন, ম্যার্কেলের শরণার্থী নীতি তাঁর দলের খারাপ ফলের জন্য দায়ী নয়৷ বরং রাজ্য নির্বাচনে রাজ্য পর্যায়ের সমস্যাগুলোই ফল নির্ধারণে ভূমিকা রেখেছে বলে তাঁর ধারণা৷
জার্মানির প্রভাবশালী সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘স্পিগেল অনলাইন'-ও মনে করছে, ‘‘সিডিইউ হারলেও এবার সেটি চ্যান্সেলরের পরাজয় নয়৷'' বার্লিন নির্বাচনে এএফডি তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী দ্বিতীয় অবস্থান না পেলেও (পঞ্চম হয়েছে) জার্মানির রাজনীতিতে এএফডির মতো চরম ডানপন্থি দলের উপস্থিতি এখন সাধারণ ব্যাপার হয়ে উঠেছে৷ এই অবস্থা ‘দুঃখজনক হলেও সত্য' বলে মন্তব্য করেছে সংবাদমাধ্যমটি৷ স্পিগেলের এমন মন্তব্যের কারণ, একের পর এক রাজ্যের সংসদে ঢুকছে এএফডি৷ এখন পর্যন্ত ১৬টি রাজ্যের মধ্যে ১০টি রাজ্যের সংসদে প্রবেশ করেছে মাত্র তিন বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হওয়া দলটি৷ এ সব ফলের উপর ভিত্তি করে এএফডির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদ বেয়াট্রিক্স ফন স্টোর্শ মনে করছেন, আগামী বছরের কেন্দ্রীয় নির্বাচনে তাঁর দল জার্মানির তৃতীয় বৃহত্তম শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)