1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

২০৩০ সালে কী হবে?

৩০ আগস্ট ২০১৪

জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে যে বিজ্ঞানীরা চিন্তিত – তা নতুন কিছু নয়৷ তবে এবার জানা গেছে, সাগরের ভেতরকার সুপ্ত তাপ যখন বেরিয়ে আসবে তখন সুমেরুর বরফ আরো গলে যাবে৷ এর ফলাফল নিয়ে তাই আরো উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা৷

https://p.dw.com/p/1D3c3
Kirche auf Skopelos
ছবি: imago/Helge Sobik

তাঁরা বলছেন, ২০৩০ সালে সমুদ্রের তলদেশে ৫,০০০ ফিট গভীরে যে সুপ্ত তাপ রয়েছে তা আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠবে এবং নতুনভাবে শুরু হবে বৈশ্বিক উষ্ণতা, যা গলিয়ে দেবে সুমেরুর বরফ৷ ফলে সমুদ্র পৃষ্ঠে যখন এই তাপ উঠে আসবে তখন ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বিশ্ববাসী৷

সমুদ্রের গভীরে ৬,৫০০ ফিট গভীরে থেকে পানি সংগ্রহ করে, তা পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা৷ ১৯৯৯ থেকে সমুদ্র গর্ভে তাপ জমা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা৷ বিজ্ঞানী কা-কিট-তুং বলছেন, ‘‘৩০ বছর পর পর এই ধারা পরিবর্তীত হয়, অর্থাৎ একবার গরম, একবার ঠান্ডা৷ এখন চলছে ঠান্ডা পর্যায়৷ তাই ২০৩০ সালে গরমের পর্যায়টা কী হবে তা ভেবে দেখবার বিষয়৷ ''

মানবসৃষ্ট গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের কারণেই প্রশান্ত মহাসাগরে উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবে – এমন ধারণা পাওয়া গেছে আগের বিভিন্ন গবেষণায়৷ কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, প্রশান্ত মহাসাগরে তাপমাত্রা তুলনামূলক কমেছে৷ তবে গবেষকরা বলছেন, এই শীতলতার কারণ হলো শিল্পকারখানার দূষিত ধোঁয়ার কারণে সূর্য কিরণ পৃথিবীতে আসতে বাধা পাচ্ছে৷

অপর এক বিজ্ঞানী জার্নাল নেচার জিওসায়েন্স এ লিখেছেন, ‘‘আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে সৃষ্ট ধোঁয়ার কারণেও সূর্য কিরণ পৃথিবীতে আসতে বাধা পাচ্ছে৷ ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতার বদলে দেখা দিচ্ছে শীতল আবহাওয়া৷ গরম লবণাক্ত পানি যখন অ্যাটলান্টিক সাগরে এসে পড়ে তখন সেখানকার ঠান্ডা পানির সাথে মিশে এটি নিমজ্জিত হয়৷

জাতিসংঘের মতে, এটা ৯৫ ভাগ নিশ্চিত যে মানুষের আচরণের কারণে কার্বন নিঃসরণ তাপামাত্রা বৃদ্ধির প্রধান কারণ৷ ১৯৬০ সাল থেকে এ কারণেই দাবদাহ, ঝড় ও সমুদ্রে পানির উচ্চতা বেড়েই চলেছে৷

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য