বিদেশি রোগীদের চিকিৎসার খরচ দেবে জার্মানি
২০ এপ্রিল ২০২০করোনা সংকটের জের ধরে ইউরোপের অনেক দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা অবকাঠামো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে৷ অনেক হাসপাতালে আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট জায়গা বা সরঞ্জামের অভাব দেখা যাছে৷ ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য চিকিৎসাকর্মী মাস্ক ও অন্যান্য সুরক্ষার অভাবে ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না অথবা নিজেরাই দ্রুত আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন৷
এমন প্রেক্ষাপটে ইইউ দেশগুলি থেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কিছু মানুষকে জার্মানিতে চিকিৎসার জন্য আনা হচ্ছে৷ বিশেষ করে ফ্রান্স থেকেই বেশি রোগী জার্মানিতে এসেছেন৷ কিন্তু তাদের চিকিৎসার খরচ সম্পর্কে এতকাল কিছুটা ধোঁয়াশা ছিল৷ সোমবার জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান বলেছেন, সৌহার্দ্যের চিহ্ন হিসেবে জার্মানি সেই ব্যয়ভার বহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷
জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনো পর্যন্ত মোট ২২৯ জন বিদেশি রোগীকে জার্মানিতে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে৷ এর মধ্যে ১৩০ জন ফ্রান্স, ৪৪ জন ইটালি ও ৫৫ জন নেদারল্যান্ডস থেকে এসেছেন৷ জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এঁদের চিকিৎসার জন্য প্রায় ২ কোটি ইউরো খরচ হয়েছে৷ তাঁর মতে, ইউরোপীয় স্তরে সংহতির স্বার্থে জার্মানি সেই ব্যয়ভার বহন করছে৷ তাছাড়া জার্মানি ভবিষ্যতেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আরো রোগী গ্রহণ করতে সক্ষম ও উৎসুক বলে জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন৷ বিশেষ করে জার্মানিতে সংক্রমণের হার কমে যাওয়ায় অবকাঠামোর উপর চাপ কমছে৷ রবিবার হাসপাতালে ১২,৬০০টি বেড খালি ছিল৷
সোমবারের হিসেব অনুযায়ী, জার্মানিতে করোনায় আক্রান্ত মোট মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ৪০,০০০ পেরিয়ে গেছে৷ মৃতের মোট সংখ্যা ৪,৪০৪৷ সে তুলনায় স্পেন, ইটালি ও ফ্রান্সে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার অনেক বেশি৷
পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি সত্ত্বেও জার্মানি সতর্ক থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্পান বলেন, বিধিনিয়ম শিথিল করার যে সিদ্ধান্ত সোমবার থেকে কার্যকর করা হচ্ছে, সরকার তার প্রভাবের উপর কড়া নজর রাখছে৷ তিনি জানান, আগামী ৩০শে এপ্রিল পরিস্থিতি নতুন করে মূল্যায়ন করা হবে৷ বাধ্যতামূলক না করলেও ফেডারেল সরকার ট্রামে-বাসে ও কেনাকাটার সময় মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছে৷
এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)