1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদেশে পালাতে চেয়েছিলেন মেয়র আব্বাস: র‌্যাব

১ ডিসেম্বর ২০২১

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব৷ ‘দেশ ছাড়ার' চেষ্টায় ছিলেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় কমিটি থেকে অব্যাহতি পাওয়া এই মেয়র৷  

https://p.dw.com/p/43gXA
ছবি: DW

 জাতির পিতার ম্যুরাল স্থাপনের বিরোধিতা করে আব্বাসের কিছু মন্তব্যের একটি অডিও ভাইরাল হওয়ায় গত তিন সপ্তাহ যাবত আলোচনায় ছিলেন ৷ ঢাকার কাকরাইলের হোটেল রাজমনি ঈশা খাঁ থেকে বুধবার ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় র‌্যাব ৷

মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর থেকেই তাকে খোঁজা হচ্ছিল বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন৷

কমান্ডার মঈন বলেন, ‘‘গত ২৩ তারিখ থেকে আব্বাস ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে আত্মগোপনে ছিলেন ৷ মঙ্গলবার তিনি হোটেলে ঈশা খাঁয় অবস্থান নিলে র‌্যাব গোয়েন্দারা জানতে পারে৷ ‘তার কাছে পাসপোর্ট পাওয়া গেছে, তার দেশত্যাগের পরিকল্পনা ছিল৷”  

নৌকা প্রতীক নিয়ে টানা দুইবার রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত আব্বাস আলী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছিলেন৷

নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই অডিও টেপে আব্বাসকে বলতে শোনা যায়, রাজশাহী সিটি গেইটে বঙ্গবন্ধুর যে ম্যুরাল করার নকশা দেওয়া হয়েছে, সেটা ‘ইসলামি শরিয়ত মতে সঠিক নয়'৷ এটা করতে দিলে ‘পাপ হবে'৷

অডিওটি ফাঁস হওয়ার পর পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক পদসহ রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তাকে ৷

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মন্তব্যের জেরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের পর কাটাখালীর পৌর মেয়রের ওই অডিও ভাইরাল হলে রাজশাহীতে তুমুল আলোচনা শুরু হয়৷ স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ তার অপসারণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে৷

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আব্বাস আলী ওই মন্তব্য করে প্রচলিত আইনে ‘শাস্তিযোগ্য অপরাধ' করেছেন৷

পরে আব্বাসের বিরুদ্ধে রাজশাহীর নগরের রাজপাড়া, বোয়ালিয়া ও চন্দ্রিমা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিনটি মামলা হয়৷ 

মেয়র আব্বাস প্রথমে ওই অডিও ‘এডিট করা' হয়েছে বলে দাবি করলেও  পরে ফেসবুক লাইভে এসে ওই বক্তব্য তার বলে স্বীকার করেন৷

মেয়র বলেন, স্থানীয় একটি মাদ্রাসার বড় হুজুরের কথায় প্রভাবিত হয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল না রাখার বিষয়টি বলেছিলেন ৷ তিনি তার ভুলের জন্য ক্ষমা চান ৷ আব্বাস তার ওই বক্তব্যের কথা র‌্যাবের কাছেও স্বীকার করেছেন বলে জানান কমান্ডার মঈন ৷

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)