বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার কথা জানিয়েছে লিবিয়া সরকার
৪ জুলাই ২০১১আলোচনা নাকি এখনও চলেছে, বলেছেন ইব্রাহিম তো তাই৷ আলাপ-আলোচনার উদ্দেশ্য দৃশ্যত একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান৷ সেক্ষেত্রে বিদ্রোহীদের জাতীয় ক্রান্তি পরিষদের অনুমোদন থাকা চাই, অন্তত তাদের জানা থাকা চাই৷ সেটা কিন্তু এখনও স্পষ্ট নয়৷
এমনকি আলোচনা কাদের সঙ্গে হচ্ছে, তা'ও স্পষ্ট নয়৷ ইব্রাহিম'এর ইমেল বিবৃতিতে আছে, একটি বৈঠক হয়েছে রোমে৷ তাতে লিবিয়া সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা আলোচনা করেন আবদেল ফাত্তা ইইনেস আল আবিদি'র সঙ্গে৷ ইনি ছিলেন গাদ্দাফির প্রাক্তন নিরাপত্তা মন্ত্রী, গত ফেব্রুয়ারিতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দেন৷ আগামীতে হয়তো আরো বিশদ জানা যাবে৷
সোচি
ওদিকে কৃষ্ণসাগরের সোচি'তে রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের সঙ্গে একদিকে ন্যাটো, অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জেকব জুমার সাক্ষাতের মূল বিষয়ও হল লিবিয়া৷ ন্যাটোর মহাসচিব আন্ডের্স ফঘ রাসমুসেন লিবিয়ায় ন্যাটোর অভিযানের সপক্ষে বক্তব্য রেখেছেন সোচি'তে৷ রাশিয়ার দৃষ্টিতে ঐ অভিযান জাতিসংঘের সনদকে ছাড়িয়ে গেছে৷ ক্রেমলিন আফ্রিকান ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের শান্তি প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে৷ গত শুক্রবারই আফ্রিকান ইউনিয়নের নেতারা লিবিয়া সরকার এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার ব্যবস্থাপনা করার প্রস্তাব দেন৷ এমনকি জুমা এ'ও বলেন যে, আলাপ-আলোচনা হবে আদ্দিস আবেবা'য়, অর্থাৎ এইউ'এর মুখ্য কার্যালয়ে৷
জুমার কূটনৈতিক অবস্থান
তিনি নাকি মেদভেদেভ'কে এইউ'এর চিন্তাধারা এবং পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করতে এসেছেন৷ এছাড়া তিনি দৃশ্যত ন্যাটোর প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথাবার্তা বলবেন৷ এক হিসেবে জুমা দ্বিপাক্ষিক নয়, চতুর্পাক্ষিক মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, বলা চলে৷
এইউ'এর শান্তি পরিকল্পনা
যেমন জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন একটি আন্তর্জাতিক শান্তিবাহিনী স্থাপন৷ সেটা বিদ্রোহীরা মেনে নেয়নি বা নেবে না৷ ওদিকে রাশিয়াও গাদ্দাফিকে লিবিয়া ত্যাগ করতে রাজি করাতে পারেনি৷ - এবার কিন্তু বিদ্রোহীরাই বলেছে, গাদ্দাফি সব ক্ষমতা ছাড়লে তিনি লিবিয়াতেই থাকতে পারেন, অবশ্য আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে৷ এবং ন্যাটোও দৃশ্যত আভাস দিয়েছে, তাতে তাদের বিশেষ আপত্তি নেই৷ কেননা ন্যাটোও ‘যুদ্ধ' শেষ করতে ব্যগ্র৷
যাই হোক, সোচি'তে রাশিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা মিলে ন্যাটোকে চাপে না হলেও, কিছুটা বিড়ম্বনায় ফেলেছে৷ কিন্তু বাস্তবে সব পক্ষই একটা সর্বাঙ্গীণভাবে অসন্তোষজনক, কিন্তু বাস্তবে গ্রহণযোগ্য আপোষের দিকে এগোচ্ছে৷ এই মাটির পৃথিবীতে যেমন হয়ে থাকে৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন