বিশাল সেই হৃদ এখন শুকিয়ে মরুভূমি
চিলির পেনুয়েলাস লেকটি একসময় ছিল সুপেয় পানির সবচেয়ে বড় উৎস, এখন সেটি প্রায় শুষ্ক এক মরুভূমি৷ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলছে খরা, তাই স্থানীয়দের নিত্যদিনের প্রার্থনা, ‘‘হে ঈশ্বর, একটু পানি দাও!’’ ছবিঘরে বিস্তারিত...
৩৮ হাজার সুইমিং পুল!
এখন অনেকেরই হয়ত বিশ্বাস হবে না যে, ভালপারাইজো শহরের এই জায়গাটায় একসময় এমন এক হৃদ ছিল, যা ছোট ছোট করে ভাগ করে দিলে অনায়াসে অলিম্পিক গেমসের ৩৮ হাজার সুইমিং পুল হয়ে যেতো৷ সেই পেনুয়েলাস এখন শুকিয়ে মরুভূমি৷
শুধু মৃতদেহ আর কঙ্কাল
এখন সেখানে পানি একেবারে নেই বললেই চলে৷ আগে যেখাবে ৩৮ হাজার সুইমিং পুলের পানি ছিল, এখন টেনেটুনে দুই সুইমিং পুলও হবে কিনা সন্দেহ৷ পানি শুকিয়ে যাওয়ায় নানা ধরনের মাছ মরে, শুকিয়ে কঙ্কাল হয়ে পড়ে আছে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে৷
১৩ বছর বৃষ্টিহীন!
এত বড় লেকটি হঠাৎ শুকিয়ে যায়নি৷ ১৩ বছর ধরে খরা চলছে ভালপারাইজোতে৷ ওদিকে আন্দেজেও পড়েছে উষ্ণায়নের প্রভাব৷ আগে আন্দেজের বরফ গলে জলধারা নেমে আসতো ভালপারাইজোর দিকে৷ বহুদিন হলো আন্দেজের বরফগলা জল সেভাবে আর আসে না৷ গরমে বরফ দ্রুত শুকিয়ে বাষ্প হয়ে উড়ে যায়, জলধারা হওয়ার সুযোগই পায় না৷
পানির আশায় আসা-যাওয়া
কিন্তু দূর-দূরান্ত থেকে এখনো অনেক প্রাণী পেনুলেয়াসে আসে একটুখানি পানির আশায়৷ তৃষ্ণা মেটাতে না পেরে হতাশ হয়েই ফিরতে হয় তাদের৷
পানির জন্য প্রার্থনা
পেনুয়েলাসের কাছেই থাকেন আমান্ডা কারাসো৷ তার স্পষ্ট মনে আছে একসময় বরশি ফেলে কত পেজেরে মাছ ধরেছেন৷ এখন পানি নেই, তাই স্থানীয় মাছ পেজেরের হাজার হাজার দেহ শুকিয়ে কঙ্কাল হয়ে পড়ে আছে৷
এখন নদীই ভরসা
ভালপারাইজো শহরে পানি সরবরাহ করে ইএসভিএএল নামের একটি প্রতিষ্ঠান৷ সেই প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার হোসে লুই মুরিলোও নিজের চোখে দেখেছেন একসময়ের কাজলকালো জলের আধার পেনুয়েলাসকে শুকাতে শুকাতে অতি ক্ষুদ্র এক ডোবা হয়ে যেতে৷ শুকিয়ে যাওয়া পেনুয়েলাসের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কয়েক দশক আগে পুরো ভালপারাইজোর পানির একমাত্র উৎস ছিল এই পেনুয়েলাস৷ অথচ এখন ভালপারাইজো নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল৷’’