1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বকাপ আয়োজক হতে চেয়ে মাত্র দুই ভোট পেয়েছে ইংল্যান্ড

১৪ ডিসেম্বর ২০১০

বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক দেশ নির্বাচনে এবার রথী মহারথীদের পাঠিয়েও কিছু করতে পারলো না ইংল্যান্ড৷ মাত্র দুটি ভোট পেয়েছে তারা৷ এদিকে নির্বাচনের ফলাফল সবাইকে জানিয়ে দেওয়ায় ফিফাকে একচোট নিলেন জার্মানির ফুটবল তারকা বেকেনবাওয়ার৷

https://p.dw.com/p/QXqo
Beckenbauer
ফিফার নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য বেকেনবাওয়ারছবি: AP

আর মাত্র দুই বছর পরেই অলিম্পিকের আসর বসতে যাচ্ছে লন্ডনে৷ সেই হিসেবে এবার বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক হওয়ার প্রতিযোগিতায় বেশ শোরগোল তুলেছিল ইংল্যান্ড৷ ফুটবলের জনক হিসেবে দাবিদার ইংল্যান্ডের বড় আশা ছিল আগামী ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক হওয়ার৷ তাই গত ২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ফিফার গোপন নির্বাচনে উপস্থিত ছিলেন খোদ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন৷ তার সঙ্গে ছিলেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রিন্স উইলিয়াম এবং ইংলিশ ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা ডেভিড বেকহ্যাম৷ কিন্তু এত বড় বড় রথী মহারথীরাও মন গলাতে পারেননি ফিফার নির্বাচকদের৷ তাই ভোটের হিসাবে দেখা গেছে মাত্র দুটি ভোট পড়েছে ইংল্যান্ডের পক্ষে৷ আর বিশ্বকাপের আয়োজক রাশিয়া৷ এটা দেখে লজ্জায় নুয়ে গেছে ইংরেজ সমর্থকদের মাথা৷

এদিকে একই দশা অস্ট্রেলিয়ার৷ তাদের আশা ছিল ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার৷ সিডনি অলিম্পিক আয়োজনের অভিজ্ঞতা রয়েছে অসিদের৷ তাই তারাও অনেক আশায় বুক বেঁধেছিল৷ কিন্তু পরে দেখা যায় বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে৷ অন্যদিকে কেবল একটি মাত্র ভোট পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে৷ ফলে এবার তাদেরও কান কাটা গেছে৷

এদিকে ফিফার এই ভোটের হিসাব প্রকাশ করে দেওয়ায় খেপেছেন জার্মান ফুটবলের কাইজার ফ্রানস বেকেনবাওয়ার৷ ফিফার নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য বেকেনবাওয়ার সমালোচনা করে বলেছেন, যেভাবে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়াকে সবার সামনে তুলে ধরা হয়েছে তাতে আমি হতাশ৷ আমাদের বলা হয়েছিল কোন দেশ কত ভোট পাবে সেটা গোপন রাখা হবে৷ কেবল বাদ পড়া দেশগুলোর নাম বলা হবে৷ অথচ নির্বাচনের একটু পরেই আমি রেডিওতে শুনতে পেলাম কোন দেশ কত ভোট পেয়েছে সেখবর বলা হচ্ছে৷ ফিফার ওপর আমার বিশ্বাস এখন খুব কমই, বললেন বেকেনবাওয়ার৷ তবে জার্মান ফুটবল তারকার এই কথাতেও ইংলিশ ও অসি সমর্থকদের ভাঙা মন কিন্তু জোড়া লাগছে না৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক