বিশ্বজুড়ে নারীদের মিছিল
২০১৭ সালে ট্রাম্প শপথ গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী আন্দোলনে সমবেত হয়েছিল লাখো নারী৷ পরে সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে৷ এবারও নারীদের সম্মান ও অধিকারের দাবিতে বিশ্বজুড়ে হয়েছে উইম্যান মার্চ৷ তারই কিছু ছবি৷
শুরুর গল্প
২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরের নারীরা ট্রাম্পবিরোধী মিছিলে অংশ নেন৷ সেই মিছিলই হয়ে ওঠে নারী অধিকারের প্রতীক৷ ট্রাম্প শাসনামলে নারী অধিকার ব্যহত হবে এবং নিপীড়নের শিকার হবেন নারীরা, এমন আশঙ্কা ছিল৷ সেই সময় গঠিত হয় উইম্যান মার্চ নেটওয়ার্ক৷ ২০১৮-র ১৯ জানুয়ারি থেকে সেই নেটওয়ার্ক নারী অধিকারের দাবিতে বিশ্বজুড়ে পথে নামছে৷
দাবি অধিকারের ও সম্মানের
সম্মানের দাবিতে বিশ্বের সব নারী রাজপথে নেমে এসেছিল৷ অ্যামেরিকার ১৫টি শহর ছাড়াও ক্যানাডা, ইতালি, লন্ডন, জার্মানি, স্পেনসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের বড় বড় শহরের নারীরা নিজেদের অধিকারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ মিছিলে অংশ নেন৷
আবারও ট্রাম্প
১৯ জানুরয়ারিতে সামগ্রিকভাবে নারী অধিকার ও সম্মান নিশ্চিতের দাবিতে রাজপথে নামলেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্লোগানও ছিল৷ যুক্তরাষ্ট্রের ১৫টি শহরে হওয়া এই মিছিল আগাগোড়াই ছিল ট্রাম্পবিরোধী। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করতে চায় নারীরা– এমন স্লোগানও দেওয়া হয় মিছিলে৷
লন্ডনে ট্রাম্পবিরোধী মিছিল!
লন্ডন শহরের উইম্যান মার্চ নেটওয়ার্কের নারীরা ট্রাম্পের প্রতিকৃ্তি বহন করেন এবং ট্রাম্পবিরোধী নানা স্লোগান দেন৷ মিছিল শেষে রাজপথে ট্রাম্পের ব্যাঙ্গপুতুল পড়ে থাকতে দেখা যায়৷
মাইনাস ২২ ডিগ্রিতে মিছিল
ক্যানাডার টরেন্টোর নারীরা যখন রাজপথে নেমে আসেন, তখন শহরটির তাপমাত্র মাইনাস ২২ ড্রিগ্রি৷ প্রচণ্ড শীতের মধ্যেও কয়েক হাজার নারী নেমে আসেন টরেন্টোর রাজপথে৷ সার্বিকভাবে নারী অধিকারের দাবিই জানান ক্যানাডার নারীরা৷ একই সঙ্গে বিশ্বের বাকি নারীদের প্রতি সংহতিও প্রকাশ করেন তাঁরা৷
স্লোগানে মুখর মিছিল
মুখে বলা স্লোগান আর হাতে লিখে নিয়ে আসা নানা প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, ব্যানার ছিল অধিকারের দাবিতে সরব৷ বার্লিনের মিছিলে এক নারীর পোস্টারে লেখা ছিল, ‘‘ফেমিনিস্ট কোনো নোংরা শব্দ নয়৷’’ এমনকি লন্ডনে টেরেসা মেবিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয়৷
চাই সাম্য
সারা বিশ্বের নারীরা সাম্যের দাবিতেই দাঁড়িয়েছিলেন৷ ঘর থেকে কর্মস্থল, সব স্থানেই সমতার দাবি জানান নারীরা৷ সামনের বছর আবার একই সময় এই সমতার দাবিতে দাঁড়াবেন এ প্রতিশ্রুতি দিয়েই মিছিল শেষ করেন যুক্তরাষ্ট্রের উইম্যন মার্চ নেটওয়ার্ক৷