বিশ্বব্যাংকের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া
২২ সেপ্টেম্বর ২০১২পদ্মা সেতু নির্মিত হলে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে বাকি অংশের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে৷ এই সেতুতে রেল সংযোগও থাকবে৷ তাই পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক আবার অর্থায়নে রাজি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ওই এলাকার মানুষ বেজায় খুশি৷
ওদিকে ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতিরা মনে করেন, এতে দক্ষিণের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে৷ নতুন নতুন শিল্পকারাখানা স্থাপিত হবে৷ সেখানকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে৷ বাড়বে আয়৷ দেশের অর্থনীতিতেও এই সেতু বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন এফবিসিসিআই-এর সহ সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী৷
তাই আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ মনে করেন, এই সেতু নিয়ে আর কোনো রাজনীতি করা ঠিক হবেনা৷ দেশের স্বার্থে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে৷ তিনি বলেন, দেশের মানুষের স্বার্থের কথা চিন্তা করেই সরকার পদ্মা সেতুর ব্যাপারে অনেক ছাড় দিয়েছে৷
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পদ্মায় বিশ্বব্যাংকের ফিরে আসাকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ তবে তিনি মনে করেন, সরকার শুরুতেই দুর্নীতির কথা স্বীকার করলে এই দশ মাস অপেক্ষা করতে হতো না৷
৬.১৫ কি.মি. দীর্ঘ প্রস্তাবিত পদ্মা সেতু পদ্মা নদীর মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে হওয়ার কথা৷এই সেতুর সরাসরি উপকারভোগী হবেন প্রায় চার কোটি মানুষ৷ নির্মাণ শুরুর তিন বছরের মধ্যে এই সেতু তৈরি হওয়ার কথা৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: জাহিদুল হক