বোরো ধান উৎপাদন ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা
২২ মার্চ ২০১২বোরো ধান চাষের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন সেচের প্রয়োজন৷ চারা লাগানো থেকে শুরু করে ফসল কাটা পর্যন্ত চলে এই সেচ৷ আর এখন ফসলের মাঠে বোরা ধানের চারা৷ শিষ আসেনি৷ কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে পারবে আগামী মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে৷ কিন্তু তারা ঠিকমত বিদ্যুৎ না পাওয়ায়, বোরো ধানের মাঠে ঠিকমত সেচ দিতে পারছে না৷
স্বাভাবিকভাবেই সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে৷ প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, এই সমস্যা তাদেরও জানা৷ এজন্য সরকার এই সেচের জন্য রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ নিশ্চিত করবে, যাতে বোরো ধানের উৎপাদন ব্যাহত না হয়৷ এজন্য শহরাঞ্চল এবং শিল্প কারখানায় বিদ্যুৎ কিছুটা হলেও রেশনিং করা হবে৷ অর্থাৎ, শহরাঞ্চলে এবং শিল্প কারখানায় বিদ্যুৎ কম দেয়া হবে৷ আর বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধ রাখা হবে৷ যা আজ থেকেই কার্যকর হচ্ছে, জানান তিনি৷
তবে সেচের জন্য শুধুমাত্র নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের নিশ্চয়তায় আশ্বস্ত নন অর্থনীতিবিদরা৷ বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস-এর পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. আসাদুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে জানান, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার তাতে বোরো ধানের উৎপাদন ব্যহত হবে৷ কারণ পানি সেচ বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল৷ তাই উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে৷ অনেক কৃষকই অতিরিক্ত দামের কারণে পর্যাপ্ত সেচ দিতে পারবে না৷ এ কারণে খাদ্য নিরপত্তা বিঘ্নিত হওয়ারও আশঙ্কা করছেন তিনি৷
অর্থনীতিবিদ ড. আসাদুজ্জামান বলেন, সরকার যদি এখন বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে মে মাসের শেষের দিকে দাম বাড়াতো, তাহলে কৃষকরা এহেন সংকটে পড়তো না৷ কারণ ততক্ষণে বোরো ধান উঠে যেত৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ