‘বোর্ড আর ক্রিকেটারদের সম্পর্ক পরিবারের মত’
২ নভেম্বর ২০১৯বোর্ডের সাথে ক্রিকেটারদের সম্পর্ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে তিনি কথা বলেছেন ডয়চে ভেলের সঙ্গে৷
ডয়চে ভেলে: ক্রিকেট বোর্ডের সাথে ক্রিকেটারদের সম্পর্ক কী? বোর্ডের দায়িত্ব কী?
আকরাম খান: এটা আসলে একটি পরিবারের মত৷ পরিবারে যেরকম হয় সেরকমই৷ একটা কোড অব কন্ডাক্ট আছে বোর্ডের৷ কোনটা করা যাবে৷ কোনটা করা যাবেনা৷ এটার মাধ্যমে দুই পক্ষই কাজ করে৷ বোর্ডের আরো অনেক দায়িত্ব আছে৷ এখন আপনারা যেমন সাকিবকে চেনেন৷ ক্রিকেট নিয়ে ভাবেন৷ এখন অনেকেই খেলছেন ন্যাশনাল টিমে৷ তার আগে ধরেন সাত-আট বছর বোর্ড ওদের তৈরি করেছে৷ নার্সিং করেছে৷ বোর্ডের প্রচেষ্টাতো অনেক বেশি থাকে৷ তার এক্সপোজার অত বেশি হয়না৷
বোর্ডের এখন নিয়ম হলো মিডিয়াতে কোনো নেগেটিভ কথা বলা যায়না৷ কর্পোরেটে যা হয়৷ বোর্ড এখন সেরকমই৷
বোর্ড কি তাহলে ক্রিকেটারদের মনিটরিং অর্গানাইজেশন?
হ্যাঁ৷ বোর্ড ক্রিকেটের জন্য সব করে৷
ফ্যামিলির মত হলে তার চুক্তি, খেলা সবই কি বোর্ড নিয়ন্ত্রণ করে?
হ্যাঁ৷ সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করে৷ বিদেশে কে কোথায় খেলছে বোর্ডকে জানানো হয়৷ প্লেয়াররাও জানায়৷ ফ্রাঞ্চাইজি সব কিছুই বোর্ডের জানার বাইরে হয়না৷ ক্রিকেটারদের বেতন, ম্যাচ ফি সবই বোর্ড ঠিক করে৷
এখন বোর্ডের সাথে ক্রিকেটারদের সম্পর্ক কেমন? আপনি কিভাবে দেখেন?
না, এখন ভালো৷ মাঝখানে একটা ভুল হয়েছিল৷ ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল৷ সেটাতো এখন ভালো হয়ে গেছে৷ ঠিক হয়ে গেছে৷
আপনি ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের কথা বলছেন?
হ্যাঁ৷
ক্রিকেটারদের দাবি ধর্মঘট ছাড়া মিটোনোর সুযোগ ছিল কিনা?
যে দাবী গুলো করা হয়েছে তার কিন্তু ৫০ ভাগ কাজ আমরা তার আগেই করে ফেলেছিলাম৷ ওদের উচিত ছিলো ওরা আমাদের কাছে এসে ব্যাপারটা বলত৷ তারপর আমরা না মানলে তারা যেভাবে দাবী করা হয় সাধারণভাবে সেভাবে করতে পারত৷ সেই দাবিটা বেটার হতো৷
এই ধরণের ঘটনা বোর্ডের সাথে ক্রিকেটারদের সম্পর্ক ও পারফরমেন্সে প্রভাব ফেলে কিনা?
অবশ্যই এতো তো ভুল বোঝাবুঝি হয়৷ প্রভাব ফেলে৷ কিন্তু এবার পরেতো আমাদের মাননীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট খুব সুন্দরভাবে এটা হ্যান্ডেল করলেন৷ এক মিটিং-এ সব কিছু শেষ হয়ে গেছে৷ এখানে আমার মনে হয়না আর কোনো মনোমালিন্য থাকবে৷
অন্যান্য দেশে বোর্ডের সাথে ক্রিকেটারদের সম্পর্ক কি রকম হয়?
আমাদের দেশের মতই৷ সেইম৷ কোড অব কন্ডাক্টও সেইম৷
সাকিবের ক্ষেত্রেওতো একটা ঘটনা ঘটল৷ এটা বোর্ড কিভাবে কাটাবে?
আপনারা নিউজটাতো পড়েছেন, পড়েন নাই? তাহলে বোর্ড কী করবে? ওখানে আকসু হলো আইসিসির একটা বডি৷ যারা ম্যাচ ফিক্সিং বা এগুলোতে জড়িত থাকে তাদের নিয়ে কাজ করে৷ এখানে আইসিসি ছাড়া বোর্ড কিছু করতে পারবেনা৷
ভবিষ্যতে ক্রিকেটারদের জন্য তাহলে এখন বোর্ডের কি করণীয়?
আমরা যখন বয়স ভিত্তিক ১৪ ও ১৫ টিম গঠন করি তখন থেকেই আমরা এই শিক্ষাটা দেই৷ কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ, কোনটা আইসিসিতে ব্যান্ড, কোনটা ব্যান্ড না, কোন ওষুধ খেতে পারবে, কোনটা পারবেনা- এর সব ক্লাস আমরা করাই৷
সাকিব গ্রামীণ ফোনের সাথে চুক্তি করে কি কোনো নিয়ম ভঙ্গ করেছেন?
এধরণের চুক্তি করতে হলে বোর্ড থেকে এনওসি( নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) নিতে হয়৷ সাকিব এনওসি নেন নি৷
প্রিয় পাঠক, আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷