ব্রিকস সম্মেলনে আফগানিস্তান
ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন। সভাপতিত্ব করলেন মোদী। ডিজিটাল বৈঠকে ছিলেন চীন, রাশিয়া, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট। আলোচনা হলো আফগানিস্তান নিয়ে।
আফগানিস্তান নিয়ে কথা
ব্রিকস মানে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিত একটি মঞ্চ। বৃহস্পতিবার ব্রিকসের ১৩ তম শীর্ষ সম্মেলনে আফগানিস্তান নিয়ে কথা হলো। তালেবানের নাম নেয়া হয়নি। তাদের দোষও দেয়া হয়নি। কিন্তু আফগানিস্তানের পরিস্থিতি, মানবাধিকার, সন্ত্রাসবাদ নিতে চিন্তা প্রকাশ করেছে ব্রিকস।
দিল্লির ঘোষণাপত্র
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভাপতিত্বে এই বৈঠক হয়। বৈঠক ছিল ডিজিটাল। সেখানে গৃহীত নতুন দিল্লি ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে মানবাধিকার, বিশেষ করে নারী, শিশু ও সংখ্যালঘুদের অধিকার বজায় রাখতে হবে। মানবিক সংকটের মোকাবিলা করতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলা হয়েছে।
সন্ত্রাসবাদ নয়
ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের জমি থেকে যেন কোনো সন্ত্রাসবাদী কাজ করা না হয়। আফগানিস্তান যেন সন্ত্রাসবাদের অভয়ারণ্য না হয়ে ওঠে।
পুটিনের কড়া মন্তব্য
আফগানিস্তান নিয়ে সব চেয়ে কড়া মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিন। তিনি বলেছেন, আফগানিস্তানে অস্থিরতা থাকলে প্রতিবেশী দেশগুলিতে তার প্রভাব পড়বে। তিনি বলেন, আফগানিস্তান যেন মাদক পাচার ও সন্ত্রাসের কেন্দ্র না হয়। সে দেশের মানুষকে অধিকার দিতে হবে, তারাই ঠিক করবেন তাদের দেশ কীরকম হবে।
অভিযোগের আঙুল
পুটিনের অভিযোগ হলো, অ্যামেরিকা ও তার বন্ধু দেশগুলি আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার পর নতুন সংকট তৈরি হয়েছে। এর ফলে আবিশ্ব নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। কৌশলগত স্থিরতা নষ্ট হয়েছে। আঞ্চলিক বিরোধও মেটেনি। একটা গোলমেলে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উপরের ছবিতে শেষ মার্কিন সেনা কাবুল ছাড়ার জন্য বিমানের দিকে যাচ্ছেন।
শি জিনপিংয়ের বক্তব্য
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, পরিবর্তনকে স্বাগত জানাতে হবে। পরিবর্তিত সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। নিজেদের অগ্রাধিকার ঠিক করে নিতে হবে। সহযোগিতার ভিত্তিতে চলতে হবে। সেই সহযোগিতা যেন ফলপ্রসূ হয়। বাস্তব চাহিদার কথা মাথায় রেখে দরকার হলে সহযোগিতার ক্ষেত্রে পরিবর্তন করতে হবে।
মোদী যা বললেন
নরেন্দ্র মোদাী বলেছেন, ব্রিকসের সভাপতিত্ব করতে পেরে তিনি খুবই খুশি। করোনা সংকটের সময় ব্রিকস দেশগুলি নিজেদের মধ্যে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করেছে। ভারত চায়, আগামী ১৫ বছরে ব্রিকস দেশগুলি নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা যেন অনেকটাই বাড়াতে পারে।